এই মুহূর্তে জেলা

চারদিন পেরোলেও সুতন্দ্রার মৃত্যু নিয়ে এখনো ধোঁয়াশায় পরিবার।

হুগলি, ২৮ ফেব্রুয়ারি:- চারদিন পেরিয়ে গিয়েছে সুতন্দ্রার মৃত্যুর। ঘটনার দিন ইভটিজিংয়ের অভিযোগ শোনা যায়। কিন্তু তারপর থেকে তার সহকর্মী বা গাড়ির চালক কেউই ক্যামেরার সামনে মুখ খোলেনি। পুলিশ সেই ইভটিজিং এর অভিযোগ অস্বীকার করে বলে রেষারেষি হয়েছিল। তারপরে সুতন্দ্রার বাড়িতেও যায় তার গাড়ির চালক ও তার সহকর্মীরা। সেদিনও ক্যামেরা দেখে মুখ লুকিয়ে পালায় তারা। বিগত দিনেও সুতন্দ্রার মা তার গাড়ির চালকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তার সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে দুর্গাপুরের পুলিশ এক অভিযুক্তকে আটক করেছে। সুতন্দ্রার সহকর্মীদেরও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু সেখানেও অধরা থেকে যাচ্ছিল সুতন্দ্রার গাড়ির চালক। এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজা হয়েছিল তাকে কিন্তু খোঁজ মেলেনি কোথাও, এমনকি তার বাড়িতে গেলেও তার বাড়িতে দেখা মেলেনি। তবে কোথাও যেন প্রথম দিনের সঙ্গে আজ তার বক্তব্য তার কিছু টা অমিল। সে জানায় ইভটিজিং তার চোখে পরেনি, সাদা গাড়ির চালক তাদের দিকে তাকিয়ে ছিল, সুতন্দ্রার কথাতেই বাবলু যাদবের গাড়িকে ধাওয়া করছিল গাড়ি চালক রাজদেও শর্মা।

একশ কিমি গতিবেগে ছুটিছিল গাড়ি।নিয়ন্ত্রণ করতে না পারাতেই দূর্ঘটনা। স্বীকারক্তি রাজদেও শর্মার। সাদা গাড়ি তাদের ধাক্কা মেরেছিল।তখনই সুতন্দ্রা সেই গাড়িকে ধরতে বলে।রাজদেও বার বার চেষ্টা করে এগিয়ে গিয়ে সেই গাড়ি থামাতে। কিন্তু পারেনি। পরে জাতীয় সড়ক ছেড়ে লোকাল রোডে নেমে পরে সাদা গাড়ি। তার পিছনে সজোরে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। সুতন্দ্রার মা তার মেয়ের মৃত্যুতে দুই গাড়ির সবাইকে দায়ী করেন। সবাইকে সন্দেহ করেন। রাজদেও জানান, এই দূর্ঘটনার জন্য তারও খারাপ লাগছে। সুতন্দ্রার মা জানান প্রথম দিন ওরা বলেছিল অন্য গাড়ির লোকজন মদ্যপ অবস্থায় ছিল। ইভটিজিং করেছিল আরো বিভিন্ন কিছু। তাহলে হঠাৎ করে আজকে বক্তব্যের বদল কেন জানিনা। তবে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ আমার চাই। এখনো পর্যন্ত কেবলমাত্র একজনকে ধরা গেছে বাকিরা কোথায় গেল জানিনা।