হাওড়া, ১৮ ফেব্রুয়ারি:- হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটে “স্বামীজী স্মারক তোরণ দ্বার” এর শুভ উদ্বোধন হলো। মঙ্গলবার সকালে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সঙ্ঘাধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী গৌতমানন্দজী মহারাজ, মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ সহ অন্যান্য মহারাজগণ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়। ওই অনুষ্ঠানে বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাওড়ার জেলাশাসক ড: পি দিপাপপ্রিয়া, পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী, বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ, ডা: রানা চ্যাটার্জী প্রমুখ। প্রসঙ্গত, হাওড়ার রামকৃষ্ণপুরে স্বামী বিবেকানন্দের পদার্পণের ১২৫ বছর উপলক্ষে সেই স্মৃতি চিরস্মরণীয় করে রাখতে নির্মাণ করা হয় এই ‘বিবেক দুয়ার’। যার উদ্বোধন করেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দজী মহারাজ। কলকাতার বাদুড় বাগানের বাসিন্দা ছিলেন নবগোপাল ঘোষ।
তিনি ছিলেন শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেবের আশীর্বাদ ধন্য। তিনি রামকৃষ্ণপুর লেনে ২৫ কাঠা জায়গা কেনেন।তিনি ও তার স্ত্রী নিস্তারীনি দেবী বাড়ি করে বসবাস করতে শুরু করেন। ১৮৯৮ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি সন্ন্যাসীদের নিয়ে তিনটি ডিঙি নৌকা নিয়ে রামকৃষ্ণপুর গঙ্গার ঘাটে এসেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ স্বয়ং। এখান থেকে খোল করতাল বাজিয়ে খালি পায়ে তিনি নবগোপাল বাবুর বাড়ি যান। সোনার কৌটায় রামকৃষ্ণদেবের অস্থিভস্ম নিয়ে আসেন। বার্লিন থেকে আনা একটি পট প্ৰতিষ্ঠা করেন। ধ্যানে বসে প্রথম প্রণাম মন্ত্র তৈরি করেন এই বাড়িতেই। সেইসব মুহূর্তের ১২৫ বছর উপলক্ষে বিবেক তোরণ তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ও মন্ত্রী অরূপ রায়ের উদ্যোগে সেটি তৈরি হয়। এদিন তারই উদ্বোধন হয়।রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দজী মহারাজ সহ মঠের সন্ন্যাসীরা উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানের জন্য শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।