এই মুহূর্তে জেলা

কিশোর খুনে দোষীর যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা চুঁচুড়া আদালতে।

হুগলি, ২৯ জানুয়ারি:- কিশোর খুনে দোষীর যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা চুঁচুড়া আদালতে। বিস্কুট কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিকার নাবালক ছেলেকে খুন করে অভিযুক্ত। ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসের ঘটনা। আদালত সূত্রে জানা গেছে, সৌমজিৎ দাস নামে বছর এগারোর কিশোরকে শ্বাসরোধ করে খুন করে কিশোরের মায়ের প্রেমিক অরবিন্দ তাঁতি। কিশোরের মায়ের সঙ্গে বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর ব্যান্ডেল লিচু বাগান এলাকার বাসিন্দা ফ্রিজ মিস্ত্রী অরবিন্দ তাঁতি সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়। তারপর একসঙ্গে ব্যান্ডেল লালবাবা আশ্রমে ভাড়া থাকতে শুরু করেন।

তাদের মধ্যে কিছুদিন পরেই নিয়মিত অশান্তি ঝগড়া লেগেই থাকত। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে লালবাবা আশ্রমের ভাড়া বাড়ি ছেড়ে হুগলি ৩ নং কৃষ্ণপুরে ছেলেকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে চলে আসেন নাবালকের মা। সেখানেও এসে অরবিন্দ অশান্তি করত।মা শিক্ষা দিতে ছেলেকে খুনের পরিকল্পনা করে অভিযুক্ত। এরপর ৬ জানুয়ারী সন্ধায় সৌম্যজিৎ নিখোঁজ হয়। হুগলি স্টেশন লাগোয়া রেল লাইনের কাছে একটি মন্দিরের পাশে কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার হয় নিখোঁজ হওয়ার পরদিন। মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন প্রসেনজিৎ ঘোষ তখন ব্যান্ডেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ।

ফেব্রুয়ারী ২৮ তারিখে চার্জশিট জমা দেন। সরকারি আইনজীবী ছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য। গত সোমবার চুঁচুড়া আদালতের প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সঞ্জয় শর্মা অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আজ সাজা ঘোষনা করেন বিচারক। ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস জেল, ২০১ ধারায় বছর জেল দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিনমাস জেল। সালসার কাছে কিশোরের মাকে দুই লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রস্তাব দেয় আদালত। সরকারি আইনজীবী বলেন, সঠিক সময়ে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী অফিসার। চার্জ ফ্রেম হওয়ার পর ১৭ জনের সাক্ষি হয়। আদালত অরবিন্দ তাঁতিকে যাবজ্জীবন সাজা শুনিয়েছেন।