হুগলি, ১০ জানুয়ারি:- পোলবার সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা অপর্না পাত্র(২৫) সুগন্ধা পূর্বের তৃনমূল সদস্য। তার স্বামী তোতন পাত্র জানান, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের এক চিকিৎসককে প্রাইভেটে দেখানো হত। প্রসবের জন্য প্রায় একমাস বাকি ছিলো। চিকিৎসক থাকবেন না বলে তার কথা মত চুঁচুড়া হসপিটাল রোডের একটি বেসরকারী নার্সিংহোমে ভর্তি করি। যে নার্সিংহোমে ভর্তির ইচ্ছা ছিল না আমাদের। গত ৬ জানুয়ারী সিজার করা।কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর কোমায় চলে যান প্রসূতি। তার আর জ্ঞান ফেরেনি। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তাকে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে কয়েকদিন আইসিসিইউ তে ভর্তি রাখার পর চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন আশি শতাংশ ব্রেন ডেথ হয়ে গেছে প্রসূতির।
চিকিৎসায় সারা দিচ্ছেন না। হাসপাতালে খরচও হচ্ছিল অনেক তাই চুঁচুড়াতে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। দলের পঞ্চায়েত সদস্যর এই রকম অবস্থা শুনে আজ সন্ধায় বিধায়ক অসিত মজুমদার সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় নার্সিংহোমে যান। তারা জানান, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের ভুলে এই ঘটনা হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নার্সিংহোমেরও গাফিলতি থাকতে পারে। সদ্যজাত শিশু তার মাকে দেখতে পেলো না। কার গাফিলতিতে হল তা দেখা হবে। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে। একজন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা কি করে বেসরকারি জায়গায় চিকিৎসা করেন।