হুগলি, ১৫ ডিসেম্বর:- বৈদ্যবাটিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দেখতে এসে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে তারকেশ্বর বিধানসভার প্রশাসনিক কর্তারা। বৈদ্যবাটির বর্জ্য ব্যবস্থার আদতে তারকেশ্বরে এটা তৈরি করা মানে হাতির পিঠে ছারপোকা দাবি সাধারণ মানুষের। তারকেশ্বর বিধানসভা এলাকায় তারকেশ্বর পুরসভা , তালপুর ও চাপাডাঙ্গা পঞ্চায়েতের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র ও জৈব সার প্রকল্প প্রকল্প কেন্দ্র গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বারবার সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়িক মহল এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রশাসনকে। মূলত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র থেকে যে দুর্গন্ধ বেরোয় তা থেকেই সাধারণ মানুষের আপত্তি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে তারকেশ্বর বিধানসভা এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র। অন্যদিকে পরিচ্ছন্নতার দিকে রাজ্যের অন্যান্য পৌরসভার থেকে বৈদ্যবাটি পৌরসভা। বৈদ্যবাটি পৌরসভা ১৪ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিচ্ছিন্ন জনবহুল এলাকার মধ্যে গড়ে উঠেছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র ও জৈব সার প্রকল্প।
কিন্তু জনবসতি এলাকায় হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের দুর্গন্ধ জনিত কোন অভিযোগ নেই এখানে। তাই তারকেশ্বর বিধানসভার প্রশাসনিক কর্তারা তারকেশ্বরের ব্যবসায়িক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে নিয়ে পরিদর্শন করলেন বৈদ্যবাটির এই প্রকল্প। কি কি পদ্ধতির মাধ্যমে আবর্জনা থেকে সার তৈরি হয় সমস্ত বিষয়টাই করে দেখানো হয় এখানে।এখানে উপস্থিত ছিলেন চন্দননগর মহকুমা শাসক বিষ্ণু দাস,চাপদানীর বিধায়ক অরিন্দম গুইন,তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিং রায়, তার বৈদ্যবাটি ও তারকেশ্বর পুরকর্তারা। আর সেখানেই তাদের ঘিরে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা জানান ব্যবসায়িক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। এক কথায় প্রশাসনিক কর্তাদের সামনেই ক্ষোভ বহিঃপ্রকাশ হয় তাদের।
চাপাডাঙ্গার এক ব্যবসায়ী জানান এখানে প্রায় দেড়শ বিঘের উপরে এই প্রজেক্টটা গড়ে উঠেছে কিন্তু চাপাডাঙ্গায় যে প্রকল্প পরার কথা বলা হচ্ছে তা খুব বেশি হলে আড়াই বিঘার মত মানে একটা হাতির পিঠে ছারপোকা। চাপাডাঙ্গা এলাকায় প্রত্যেক দিন কলকাতা পুরুলিয়া তারকেশ্বর আরামবাগ গামী যানবাহন দাঁড়ায় প্রত্যেকদিন প্রায় লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত সেখানে। এবং অত্যন্ত একটি সরু রাস্তা পাশেই রয়েছে স্কুল কলেজ বিভিন্ন কোলস্টোরেজ এবং ব্যবসায়ীর জায়গা তাই সেই অঞ্চলে এই প্রকল্প গড়ে উঠলে তার সাধারণ মানুষের পক্ষে অত্যন্ত অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আমরা কখনো উন্নয়নের বিরুদ্ধে নয় তবে পরিবেশকে পরিষ্কার ঠিক রাখতে অন্য জায়গার পরিবেশকে নষ্ট করার অধিকার কারোর নেই। তাই অনুরোধ এই প্রকল্প অন্য কোথাও করা হলে আমাদের সুবিধা হয়।