নদীয়া, ২৭ নভেম্বর:- ফের ভাগীরথী নদী বক্ষে ভাঙ্গন। নদী গর্ভে বিঘে বিঘে চাষের জমি। চিন্তায় কৃষকরা। পাকাপোক্ত ভাঙ্গন প্রতিরোধের ব্যবস্থা চাইছেন তারা। নদীয়ার শান্তিপুর গয়েশপুর টেংরিডাঙার ঘটনা। নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর অঞ্চলের টেংরিডাঙ্গা এলাকায় ভাগীরথী নদীতে ভয়াবহ ভাঙ্গন। এর আগেও একই জায়গায় ভাঙ্গনের ঘটনা ঘটেছিল তবে এবার আবার নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায়, মাথায় হাত কৃষকদের। যেভাবে নদীবক্ষ ভাঙছে তাতে করে যে কোন সময় সমস্ত চাষের জমি চলে যাবে ভাগীরথীর গর্ভে।তখন কিভাবে তারা সংসার চালাবেন শুধু তাই নয়, এই ভাঙ্গনের প্রভাবে কিছুদিনের মধ্যেই জনবসতিপূর্ণ এলাকাতে চলে আসবে ভাগীরথীর জল। তখন ভিটে মাটি ও ছাড়তে হবে বলে দাবি কৃষকদের।
তবে স্থানীয় বিধায়ক বেশ কিছু জায়গায় কাজ করিয়েছেন এই গঙ্গা ভাঙ্গন রোধের। যদিও পাকাপোক্ত ব্যবস্থা চাইছে চাষিরা।এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান না থাকায় তিনি কোন মন্তব্য করতে পারেননি এবং শান্তিপুর বিধানসভার বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বর্তমানে তিনি বিধানসভায় রয়েছেন। তবে এ বিষয়টি তার জানা। কারণ বেশ কিছুদিন আগেই এই একই এলাকায় বিস্তীর্ণ এলাকা নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। তবে শেচ দপ্তরের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। অতি দ্রুত গঙ্গার পাড় বাঁধানোর ব্যবস্থা শুরু হবে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে এই গঙ্গা ভাঙন নিয়ে অসহযোগিতা করছে সেখানে রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে। রানাঘাট লোকসভার সাংসদ জগন্নাথ সরকার দু দু বার সাধারণ মানুষের ভোটে জয়লাভ করেও তিনি গঙ্গা ভাঙনের কোনরকম কাজ করেননি, তাই তারও একবার উচিত এই ভাঙ্গন প্রসঙ্গে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া।