এই মুহূর্তে জেলা

নির্বাচন ছাড়াই আচমকা নতুন জিএস তৈরি নিয়ে চাঞ্চল্য কোন্নগরের হীরালাল পাল কলেজে।

হুগলি, ১৯ নভেম্বর:- আচমকাই নতুন জিএস তৈরি হল কোন্নগর হীরালাল পাল কলেজে। অথচ এখনো হয়নি কোনো নির্বাচন। সোমবার কলেজের নোটিস মারফত বিষয় টি প্রকাশ্যে আসে। তার পরেই ডামাডোল শুরু হয়েছে শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের অন্দরে। এমনকি বিরোধী ছাত্র সংগঠন ও প্রশ্ন তুলেছে এভাবে প্রিন্সিপালের নোটিশে বিনা নির্বাচনে জিএস তৈরি করা কার্যত বেনজির। নোটিসে লেখা রয়েছে, কলেজের নতুন জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে অর্ঘ্যজিৎ রায় এডুকেশন অনার্স তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্র তাকে জেনারেল সেক্রেটারি নির্বাচিত করা হয়েছে। কিন্তু ছাত্রদের দাবি, কোনরকম নির্বাচন ছাড়াই কলেজের অধ্যক্ষ একটি নোটিশ জারি করে বলেন কলেজের নির্বাচিত ছাত্র সংসদের জেনারেল সেক্রেটারির পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে এবং তাতে সই রয়েছে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অপূর্ব মজুমদারের।

ওই কলেজের প্রাক্তন জিএস সানি খাসকেল বলেন, কলেজের সোশ্যাল করা নিয়ে এই দ্বন্দ্বের শুরু। যেখানে ছাত্র সংসদেরই একটি লবি তারা সোশ্যাল এর নাম করে লক্ষ্যাতিক টাকা তছরুপ করে। তার আরো অভিযোগ ওই লবি হল উত্তরপাড়া শিরামপুর তৃণমূল ব্লক যুব সভাপতি শতদ্রু কর (সানু) র গোষ্ঠী। তারাই সানি কে সামনে রেখে সোস্যাল ও নানা অনুষ্ঠানে করার নাম করে লক্ষাধিক টাকা নয়ছয় করেছে। তাদের হাতে সোশ্যাল করতে না দেওয়া নিয়ে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সূত্রপাত।কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা আরো জানান তৃণমূলের ব্লক যুব সভাপতির থ্রেট কালচারের কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা সন্ত্রস্ত। কলেজের ভিতরে যে পরিমাণ থ্রেড কালচার চলে তার ফলে ভয়ে থাকে কলেজের সাধারণ পড়ুয়ারা। এমনকি ব্লক সভাপতির অনুগামীরা অপর গোষ্ঠীর ছাত্র ছাত্রীদের বিভিন্ন ভাবে হেনস্তা ও ভয় দেখানো মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ করেছে কলেজের বর্তমান ছাত্র ছাত্রীরা।

যদিও এই বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ তিনি বলেন, নতুন ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্বাচন পুরোটাই কলেজের গভর্নিং বডির সঙ্গে কথা বলেই হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত বাকি ছাত্রদের তরফ থেকে কোনরকম কোন লিখিত অভিযোগ তার কাছে আসেনি। কিন্তু কেন ঠিক কি ভাবে কি হল কেনই বা জিএস তৈরি করার প্রয়োজন পড়ল তা নিয়ে তুমুল ধন্দ তৈরি হয়েছে। ছাত্র সংসদ বিষয় আইন যারা জানেন তাদের এক অংশ বলছেন ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ( জি এস) পদাধিকার বলে কলেজের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সংস্থা পরিচালন সমিতির সদস্য হন। সেখানে ছাত্র সংসদের ক্ষেত্রে মনতিত কাউকে কোনো আইনি অধিকার দেওয়া নেই সেখত্রে এই মনোনীত জিএস এর ভূমিকা কী হবে সেটাই বিস্ময়ের। অপর দিকে তৃণমলের ব্লক যুব সভাপতির বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ সামনে আসতেই অস্বতিতে পড়েছে শাসক দল।