হুগলি, ৬ নভেম্বর:- বেলুন, পায়রা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হল জগদ্ধাত্রী পুজোর গাইড ম্যাপের। এদিন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, ডিজিপি রাজীব কুমার, পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, জেলাশাসক মুক্তা আর্য, মেয়র রাম চক্রবর্তী প্রমুখ। একইসঙ্গে শিশুদের জন্যে ব্যাচ এবং ভলান্টিয়ার ব্যাচেরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। পাশাপাশি এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে সিসিটিভি কন্ট্রোল রুমের উদ্বোধন করেন ডিজিপি রাজীব কুমার। পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, প্রতি বছর লাখ লাখ দর্শনার্থীর সমাগম হয় চন্দননগরে। শুধু জেলা নয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফেরিঘাট, রেল স্টেশন এবং সড়ক পথে বহু দর্শনার্থী আসবেন। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। শুধুমাত্র চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট নয়, বাইরের জেলা থেকে পুলিশ আনা হয়েছে। সিসিটিভির সংখ্যা এ বছর আরও বাড়ানো হয়েছে।
৩০০ টি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে শহর জুড়ে। তার জন্য ৩ টে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ২৪ ঘন্টা সেখানে নজরদারি চালাবে কমিশনারেটের আধিকারিকরা। মোতায়েন করা থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মী এবং মহিলা পুলিশ কর্মী। উইনার্স টিম, পিঙ্ক মোবাইল টিমের মহিলা পুলিশ কর্মীরা টহল দেবে। ষষ্ঠী থেকে শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। দুপুর দুটো থেকে পরদিন সকাল ছয়টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী গাড়ি। শহরে ঢোকার মোট ৪৪টি জায়গায় নো এন্ট্রি থাকবে। এদিন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেছেন, ৩৩ টি ওয়ার্ড এর জন্য যে আন্ডার গ্রাউন্ড এর কাজ শুরু হয়েছিল তার মধ্যে ১৮ টি ওয়ার্ড এর কাজ সম্পন্ন করা হয়ে গেছে। আগামী বছরের মধ্যে গোটা ৩৩ টি ওয়ার্ডেই এই কাজ শেষ হয়ে যাবে। জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে বহু বিদেশী পর্যটক চন্দননগরে আসেন। তাঁদেরকেও স্বাগত জানান মন্ত্রী। এদিন মঞ্চ থেকে গত দুর্গাপুজোয় সেরা থিমের জন্য জন্য চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে তিন পুজো কমিটিকে পুরস্কৃত করা হয়।