এই মুহূর্তে কলকাতা

সিজিও থেকে বেরিয়ে বিস্ফোরক নির্মল ঘোষ।


কলকাতা, ২৩ সেপ্টেম্বর:- সিজিও থেকে বেরিয়ে বিস্ফোরক নির্মল ঘোষ। নির্মল ঘোষ বলেন -যদি নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা আমাকে বলতেন আমি দেহ সংরক্ষণ করে রাখতে চাই, আমি আবার পোস্টমর্টেম করতে চাই তাহলে আমি রেখে দিতাম, কিন্তু তিনি এসব কথা কাউকেই বলেননি বরং পর দিন থেকে এসব কথা যাদের দিয়ে বলাচ্ছে আমার মনে হয় আন্দোলনের রাস তাদের হাতে নেই। আন্দোলন এর রেস আছে সাধারণ মানুষের হাতে সাধারণ মানুষ নির্যাতিতা চিকিৎসকের হয়ে লড়ে যাচ্ছে। আমি কিন্তু বিচারের দাবি থেকে সরবো না। যদি দলের কাছে করজোরে বলতে হয় আমি করো জোরেই বলবো যে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক, অপরাজিতার বিচার হোক। নাটাগরের তরুণীর প্রতি নৈতিক দায়িত্ব আমার অনেক বেশি তাই আমি ৯তারিখ দুপুর ৩. ৩০এ পৌঁছে গিয়েছিলাম আর জি কর এ। আমি ঐখানে পৌঁছে সমস্ত ব্যবস্থা দেখেছি। আমি ঘটনা স্থলে গিয়ে ডেড বডি দেকিনি। আজ সিবিআই আমার থেকে অনেক তথ্য নিয়েছে পাশাপাশি আমিও বলেছি এইসব খবর বাইরে কিভাবে বের হচ্ছে। বিধায়ক বলেন সন্দীপ ঘোষ আমাকে দেখেছে আমি তো সন্দীপ ঘোষের কাছে আগে থেকে যায়নি। সন্দীপ ঘোষ এর সঙ্গে আমার কোন বইঠক হয়নি।

আমার বৈঠক হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে, বৈঠক হয়েছে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এর সঙ্গে। এবং আমার শেষ কথা সিবিআইকে এই ছিল রে আমি আমার নৈতিক কর্তব্য পালন করেছি আমি হাসপাতালে গিয়েছি, সেখান থেকে ডেড বডি নিয়ে বাড়িতে এসেছি, বাড়ি থেকে ডেড বডি নিয়ে শ্মশানে গিয়েছি, রাত বারোটার পর শশানের সৎকার কর্ম সম্পন্ন করে বাড়িতে এসেছি। পাশাপাশি আজ নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ করেন, শ্মশানে তার মেয়ের ডেড বডি  কে ঐদিন ভিআইপির মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল  এটা তাদের ভালো লাগেনি এই বিষয়ে নির্মল ঘোষ বলেন-আমি শ্মশানে গিয়ে কোন কথাই বলিনি। আমি আজ পর্যন্ত জীবনে কোনোদিন ও কাউকে ফ্রি কোনো দিন ও করিনি। এটা ফ্রি করার কাজ কাউন্সিলরদের,কাউন্সিলর কি করছে তার তো ডকুমেন্ট আছে ঐখানে। কাউন্সিলর যেটা করেছে সেটা হলো এখন যা মানসিক অবস্থায় আপনি ফ্রি লিখেদিন পয়সা টা জমা হয়ে থাকলো, পড়ে যদি তারা পয়সা দেয় দেবে, এটা চলে যায় পৌরসভার কাছে, যখন বাড়ির কেউ মৃত্যুর সার্টিফিকেট আনবে তখন উনি দিয়ে দিতে পারবেন।