এই মুহূর্তে জেলা

বলাগড়ের গ্রামে জল ডুকছে, মানুষকে সরানো হচ্ছে অন্যত্র।

হুগলি, ২০ সেপ্টেম্বর:- ডিভিসির ছাড়া জলে রাজ্যের একাধিক এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হুগলির আরামবাগে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ম্যান মেড বন্যা বলেন। কেন্দ্রকে চরাসুরে আক্রমণ করেন। অতিবৃষ্টি ও DVC র ছাড়া জলে প্লাবিত হয়েছে বলাগরের জিরাট পঞ্চায়েতের চর খয়রামারী এলাকা। বাঁধের ছাড়া জলে ফুলে-পেঁপে উঠেছে গঙ্গা। জোয়ারের জলে আগেই প্লাবিত হয়েছে বলাগড়ের চর খয়রামারি বিস্তীর্ণ এলাকা। চর খয়রামারী থেকে জিরাট সংযোগকারী একমাত্র কালভার্ট টি গঙ্গার জোয়ারের জলে ভেঙে যায়।যোগাযোগ বিচছিন্ন হয়ে যায় গ্রাম। জল ঢুকতে শুরু করে গ্রামে। গৃহবন্ধী হয়ে পড়ে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। তারই মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পারাপার। ওই এলাকায় প্রায় আড়াইশোটি পরিবারের বসবাস।

তাদের মধ্যে ৬০ জনকে স্থানীয় আশুতোষ নগর প্রাইমারি বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে জান সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা ও বলাগর বিডিও সুপর্ণা বিশ্বাস। কালভার্টের জায়গা নতুন কাঠের সেতু নির্মাণ করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষকে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে, জল ঢুকতে শুরু করেছে বলাগরের শ্রীপুরের বাবুচর, সিজা কামালপুর পঞ্চায়েতের বানেশ্বর পুর, আশ্রম ঘাট সহ বেশ কয়েকটি এলাকা জলমগ্ন। কৃষিতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বলাগরের অধিকাংশ এলাকার সবজি চাষের উপর নির্ভর ওই এলাকার মানুষ। এলাকা জলমগ্ন হওয়ার ফলে অধিকাংশ কৃষি জমি জলের তলায় চলে গেছে। ফলে ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।