হুগলি, ৮ সেপ্টেম্বর:- জাস্টিস ফর আরজি কর এর পর পাশাপাশি এবার স্বর উঠলো জাস্টিস ফর কোন্নগর।আর এবার প্রতিবাদে পথে নামলো কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ।করো হাতে মোমবাতি আবার করো হাতে মোবাইলের ফ্ল্যাশ। গত পরশু কোন্নগরের তরতাজা যুবক বিক্রম ভট্টাচার্যের আর জি কর হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে।বিক্রমের মা বুকফাটা কান্নায় দাবি জানিয়েছিল ডাক্তার দের কর্মবিরতি আন্দোলনের জন্য আর কত মায়ের কোল খালি হবে? তার ছেলে যেভাবে তার চোখের সামনে কাতরাতে কাতরাতে মৃত্যু বরণ করলো, তার বহু কাকুতি মিনতির পরেও হাসপাতালে কোনো ডাক্তার তার ছেলের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে না এসেই তাদের কর্মবিরতি আর আন্দোলন চালিয়ে গেছে।আর সেই ঘটনায় এক সন্তানহারা মা দাবি জানিয়েছিল যে তার ছেলের মৃত্যুর যেনো বিচার হয়। আর কোন্নগরের বিক্রমের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনায় যখন সকলে প্রতিবাদ শুরু করেছে ঠিক তখনই আবার বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনার কথা সামনে এসেছে রিশরায়।সেখানেও রাজীব বিশ্বাস বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু বরণ করে এস এস কে এম হাসপাতালে।এই ঘটনার পরে বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদের আঁচ ছড়িয়ে পড়তে থাকে সর্বত্র। প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সোস্যাল মিডিয়ায়।
এই বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আর বিচার চেয়ে দাবি জানতে শুরু করে সাধারণ মানুষ।এরপরেই ভাইরাল হতে থাকে জাস্টিস ফর কোন্নগর দাবি। আর এবার গরীব পরিবারের ছেলে বিক্রম ভট্টাচার্যর বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রতিবাদে আর সেই মৃত্যুর বিচার চেয়ে পথে নামলো কয়েক হাজার মানুষ। রবিবার কোন্নগর নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে হাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে আর মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে মানববন্ধন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করলো কয়েক হাজার পুরুষ ও মহিলা। কোন্নগর ডি ওলডি মোড়ে জিটি রোডের উপর এলাকার সম্পূর্ণ লাইট নিভিয়ে হাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে কয়েকশ মহিলা পুরুষ এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। প্রায় ২০ মিনিট ধরে চলে এই প্রতিবাদ। যেখানে প্রতিবাদি দের সুর ওঠে তিলোত্তমার বিচারের যেমন বিচারের দাবিতে আন্দোলন চলছে ঠিক তেমনি চিকিৎসকরা আন্দোলনের পাশাপাশি তারা কর্মজীবনে ফিরে আসুক কারণ বহু নিরীহ সাধারণ মানুষ চিকিৎসার অভাবে তাদের মৃত্যু ঘটছে বহু মায়ের কোল খালি হয়ে যাচ্ছে তাই ডাক্তাররা তাদের কর্মজীবনে ফিরে আসুক এই মানববন্ধন থেকে করজোরে হাতজোড় করে অনুরোধ করেন সাধারণ মানুষ। এদিনের মানব বন্ধন কর্মসূচি থেকে মামনি দাস বলেন, আর জি করে ডাক্তার তরুণীর সাথে যে জঘন্য ঘটনা ঘটেছে প্রথম দিন থেকেই আমরা তার প্রতিবাদ জানিয়েছি।
দোষীর ফাঁসির দাবি জানিয়েছি।কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি সেই ডাক্তার বাবুরা তাদের প্রতিবাদ জানতে গিয়ে যে কর্মবিরতি পালন করছে তার জন্য গরীব সাধারণ মানুষের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হচ্ছে। কোন্নগরে এক তরতাজা যুবক যেভাবে তার মায়ের সামনে যেভাবে ছটফট করতে করতে মারা গেছে সেই মা দৃশ্য চোখে দেখা যায়না। ডাক্তারবাবুরা তাদের প্রতিবাদ করছে করুক না সবাই প্রতিবাদ করছে কিন্তু তাদের প্রতিবাদের কারণে কেনো অন্য মায়ের কোল খালি হবে? গরীব মানুষরা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যেতে পারেনা তাদের ভরসা সরকারি হাসপাতাল। তাই সাধারণ অসহায় মানুষ যেনো সরকারি হাসপাতালে গিয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ না করে তারা যেনো সঠিক চিকিৎসা পায় তাই ডাক্তার বাবুদের করজোড়ে নিবেদন তারা প্রতিবাদের সাথে সাথে যেনো তাদের কাজে যোগ দিয়ে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দেয়। আবার একই দিনে বিক্রম ভট্টাচার্যের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রতিবাদে জাস্টিস ফর কোন্নগর দাবি নিয়ে কোন্নগর চলচ্চিত্র মোড়ে কয়েক হাজার মানুষ মশাল মিছিল করে বিক্রমের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ জানায় আর ডাক্তারদের সকলকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। এছাড়াও নাগরিক সমাজ আগামী দিনেও জাস্টিস ফর কোন্নগর দাবি নিয়ে পথে থাকবে বলেও জানায়।