এই মুহূর্তে জেলা

আবারও অসহায় মানুষের পাশে চন্দননগর পুলিশের কনস্টেবল সুকুমার।

হুগলি, ৩১ আগস্ট:- আর জি করের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছে। পাল্টা সামাজিক মাধ্যমে পুলিশ কর্মিরাও সরব হয়েছেন। আর এই আবহে আগামী কাল ১ লা সেপ্টেম্বর পুলিশ দিবস। শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সামাজিক নানা কাজ করে থাকেন পুলিশ কর্মিরা। তেমনই চন্দননগর পুলিশের কনস্টেবল সুকুমার উপাধ্যায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালেন আরো একবার। চুঁচুড়া রথতলা বড় বাগানের বাসিন্দা গনপতি সুর। পরিবহন কর্মি ছিলেন।একটি দূর্ঘটনায় তাঁর বা পা বাদ যায়। বর্তমানে কাঠের পা লাগিয়ে চলাফেরা করেন। তাঁর স্ত্রী আয়ার কাজ করেন তাতে কোনো ভাবে সংসার চলে। তাঁদের একমাত্র ছেলে সৌমজিৎ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। চুঁচুড়া ডাফ হাই স্কুলের ক্লাস নাইনের ছাত্র। তাঁর চলাফেরা কথা বলায় সমস্যা থাকায় একা একা স্কুলে যেতে পারে না। বাবার সঙ্গে স্কুলে যাতায়াত করে। গণপতি বাবু একটি ভ্যান রিক্সাকে ট্রাই সাইকেল বানিয়ে ছেলেকে স্কুলে দিয়ে আসেন রোজ। সেই সাইকেলটিও ভাঙাচোরা। কোনো ভাবে দরি বেঁধে চলছিল। একদিন ডিউটি যাওয়ার সময় পুলিশ কর্মি সুকুমার গণপতি ও তাঁর ছেলেকে স্কুলে যেতে দেখেন।

হাফ প্যাডেল করে খুব কষ্টে সাইকেল টেনে নিয়ে যাচ্ছেন দেখে তাঁদের জন্য কিছু করতে হবে সিদ্ধান্ত নেন। সুকুমার এর আগে একাধিক অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।প্রতিবন্ধীদের জন্য কাজ করেন। গণপতি ও তাঁর ছেলের জন্য একটি ব্যাটারি চালিত ট্রাই সাইকেলের ব্যবস্থা করেন। কয়েক মাস আগে ছোটো খেজুরিয়ার এক প্রতিবন্ধী যুবক সেখ সাইফুদ্দিনকে ব্যাটারি চালিত ট্রাই সাইকেল প্রতিবন্ধী ভাতা চালুর ব্যবস্থা করে দেন। মাস দুয়েক আগে হঠাৎই মারা যান ওই যুবক। তার বাড়িতে পরে ছিল নতুন ট্রাই সাইকেলটি। আজ পুলিশ দিবসের আগের দিন সেই ট্রাই সাইকেলটি গণপতি ও তাঁর ছেলেকে দেন পুলিশ কর্মি। ব্যাটারির সাইকেল পেয়ে খুশি পিতা পুত্র।কষ্ট লাঘব হবে তাঁদের। গণপতি বলেন, ছেলের প্রতিবন্ধী কার্ড আছে। কোনো ভাতা পায়না। সুকুমার বাবুর মত ভালো পুলিশ কর্মি আছেন। তাঁদের জন্য আমাদের মত মানুষরা উপকৃত হই।