হুগলি, ১৬ আগস্ট:- শ্রীরামপুর বটতলায় জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ বাম ছাত্র যুবদের। দোষীদের ফাঁসি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পথে নামাকে দীপ্সিতা বললেন নাটক।রচনার কান্না চোখে গ্লিসারিন দিয়ে। আর জি করের তরুনী চিকিৎসকের পাশবিক হত্যার প্রতিবাদে পথে নেমে আন্দোলন চালাচ্ছেন সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ। আর জি করে জুনিয়ার চিকিৎসদের কর্মবিরতি চলছে।দুদিন আগে রাত দখলের ডাক দিয়েছিল মেয়েরা।তাতে বিপুল সারা মিলেছে।বিরোধী বাম বিজেপি কংগ্রেসও পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেছ। শাসক তৃনমূল আজ মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে মিছিল করে কলকাতায়। সেই মিছিল থেকে এই ঘটনায় অভিযুক্তের ফাঁসির দাবী করা হয়।
আজ সন্ধায় শ্রীরামপুর বটতলায় বাম ছাত্র যুবরা জিটি রোড অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে। সেখানেই বাম নেত্রী দীপ্সিতা ধর বলেন,মুখ্যমন্ত্রী কার বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন? স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বিরুদ্ধে,পুলিশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নাকি নিজের বিরুদ্ধে।হাস্যকর নাটক,আইওয়াশ করছেন। পাশাপাশি তৃনমূলের হুগলি সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কটাক্ষ করেন।দীপ্সিতা বলেন,কিছুদিন আগেও যিনি ধোঁয়া ছাড়া কিছু দেখতে পাচ্ছিলাম না সেই ধোঁয়া বোধহয় তার চোখে এসে লেগেছে।আজকে দেখলাম উনি কাঁদছেন ওরে বা বা! চোখে কাজল চোখে গ্লিসারিন। আগামী বছর মহানায়ক পুরষ্কার নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মনে হল।এতদিন পরে কেন ওনার মনে হল।
ঘটনা ঘটেছে নয় তারিখ এক সপ্তাহ পর কেন।স্ক্রিপ্টের অপেক্ষায় ছিলেন। প্রসঙ্গত গতকাল হুগলি সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি ভিডিও শেয়ার করে চিকিৎসকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি কারো মা তিনি কারো মেয়ে বলতে বলতে কেঁদে ফেলেছিলেন। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়,রাত দখলের দিন আর জি করে ইমারজেন্সি ভাঙচুরে বাম বিজেপিকে দায়ী করেন। হাইকোর্ট সিবিআই তদন্ত দিয়েছে ভালো কথা।কিন্তু পুলিশ ২৪ ঘন্টায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল।আর ৭২ ঘন্টা হয়ে গেলেও সিবিআই কি করল তা কেন হাই কোর্ট জিজ্ঞাসা করছে না।প্রশ্ন তাঁর।