হাওড়া, ৩ আগস্ট:- শ্রাবণের বর্ষায় নিম্নচাপের ভারী বৃষ্টিতে শহরের জমা জল সরাতে এবার উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্পের ব্যবহার করতে চলেছে হাওড়া পুরসভা। রাজ্য সরকারের সহায়তায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি পাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই পাম্প জমা জল দ্রুত নামাতে সহায়ক হবে। শনিবার দুপুরে এই বিষয়ে হাওড়া পুরসভার প্রধান কার্য্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য প্রশাসক ডা: সুজয় চক্রবর্তী জানান, গত তিনদিনের প্রবল বৃষ্টির কারণে হাওড়া পুর এলাকার বিক্ষিপ্ত কিছু জায়গায় জল জমেছে। কিন্তু কয়েক ঘন্টার মধ্যে সেই জল নামানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে ২৪ ঘন্টা পরও জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেই জায়গাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। কিছু জায়গায় বিশেষ করে রামরাজাতলা এলাকায় জল সরানোর জন্য যে পাম্প ব্যবহার করা হচ্ছিল তাতে সম্পূর্ণ জল সরছিল না। একই সাথে বেনারস রোডের ভাগাড়ের সামনে চেষ্টা সত্ত্বেও বেশ কিছুটা জায়গায় জল জমে রয়েছে। এই জল সরানোর ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দুটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্পের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে ৩২ হর্স পাওয়ারের পাম্প ব্যবহার করা হচ্ছে রামরাজাতলা এলাকার জল সরানোর জন্য। দ্বিতীয় পাম্পটি ৫৫ হর্সপাওয়ারের। এটি বেলগাছিয়ার বেনারস রোড এলাকার জল বার করার জন্য ব্যবহার করা হবে।
এই পাম্পটি খুব শীঘ্রই পাওয়া যাবে। এই পাম্প ব্যবহার করলে ওই এলাকা থেকে জল দ্রুত নামানো সম্ভব হবে। জল নেমে গেলে দ্রুত রাস্তা সারাইয়ের কাজ সম্ভব হবে। বহু জায়গায় জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেগুলো চিহ্নিত করার কাজ চলছে। আগে হাওড়ার টিকিয়াপাড়া, পঞ্চাননতলা মেন রোড, কাশীপুর অঞ্চলের জল ৩-৪ দিনের আগে নামত না। বর্তমানে অতি দ্রুত সেই জল নামানো সম্ভব হচ্ছে। এখন কোথায় কোথায় জল জমছে সেইসব জায়গা খোঁজার কাজ চলছে। রামরাজাতলা এলাকার জল নামানোর জন্য সেখানে একটা রিজার্ভারের মতো তৈরি করে সেখান থেকে জল পাম্পিং হাউসের মাধ্যমে পাইপে করে ড্রেনেজ ক্যানেলের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হবে। উত্তর হাওড়ার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিবির বাগান, সীতানাথ ঘোষ লেন প্রভৃতি কিছু জায়গায় জল জমে থাকে। সেখান থেকে জল নামানোর জন্য কাজ চলছে। আশা করা যাচ্ছে পুজোর আগেই রাস্তার কাজ শেষ হয়ে যাবে। কাজ শেষ হয়ে গেলে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের সমস্যা আগামী বছরে অনেকটাই কমানো যাবে। মৈনাক পোড়েল লেনে জল সরানোর জন্য কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু তিন নম্বর কালভার্ট এলাকায় রেলের পক্ষ থেকে আমাদের না জানিয়ে হাওড়া পুরসভার একটি পাইপের উপর রেললাইন চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে জল বেরোনোর রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ব্যাপারে রেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। পাইপটা সরানো হচ্ছে। যেসব পকেটে জল জমছে তার জন্য একটা প্ল্যানিং করা হচ্ছে। আশা করা যায় পরবর্তীকালে মানুষ জল সমস্যা থেকে মুক্ত হবেন।