হাওড়া, ২৭ জুলাই:- বালি পৌরসভার ফাইন্যান্স অফিসারকে ‘হুমকি’র অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাওড়া সদরের মহকুমা শাসক তথা বালির পৌর প্রশাসক। সামাজিক মাধ্যমে ‘ভাইরাল’ হওয়া একটি ভিডিও শনিবার সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়। যদিও সেই ‘ভাইরাল’ হওয়া ভিডিও’র সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদমাধ্যম। সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুরে ট্রান্সফার হওয়া বালির ওই ফাইন্যান্স অফিসারের অভিযোগ, তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এর প্রমাণ তাঁর কাছে আছে। তিনি আরও বলেন, “এসডিও আমাকে ওনার চেম্বারে ডেকেছিলেন। সেখানে আমি গিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকরা গিয়েছিলেন। সেখানে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়। অত্যন্ত কঠোর ভাষায় উনি সেদিন আমার সঙ্গে কথা বলেন। আমাকে হুমকি দেওয়া হয়। ওই সময় আমার নিজেকে অসহায় বলে মনে হচ্ছিল। আমি যেরকম লড়ছি লড়াই চালিয়ে যাব। কর্মজীবনে যতদিন আমার চাকরি রয়েছে ততদিন অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছি। যতই হুমকি দিক আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।”
অন্যদিকে, এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি হাওড়া সদরের এসডিও। তিনি হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ওই ফাইন্যান্স অফিসারের আরও দাবি, তাঁর কার্যকালে যে সমস্ত ফাইল তাঁর কাছে এসেছিল তার মধ্যে বেশিরভাগ ফাইলের ক্ষেত্রেই ফিনান্সের অর্ডার ভায়োলেট করা হয়েছিল। ১ লাখ টাকার উপরের কাজের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম অনুসারে টেন্ডার বাধ্যতামূলক। কিন্তু টেন্ডার ছাড়াই এক্সটেন্ডেড করে একই এজেন্সিকে সেখানে কাজ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। বারে বারে এমন কাজ হয়েছে। তাঁকে বারবার চাপ দেওয়া হয় ওই সমস্ত অর্ডার ভায়োলেট করা বিলগুলো যাতে ছাড়া হয়। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী এই অর্ডার এক্সটেন্ড করা যায়না। একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য এস্টিমেট যখন স্থির হয়ে যাবে আবার পুনরায় যখন কাজ শুরু হবে নতুন করে টেন্ডার করতে হবে। এটাই সরকারের নিয়ম। কিন্তু নতুন করে টেন্ডার না করে বছরের পর বছর ধরে ওরা একই এজেন্সিকে বারে বারে কাজ পাইয়ে দিয়ে এসেছে। তারই প্রতিবাদ করেছিলাম।