এই মুহূর্তে কলকাতা

আগামীকাল মঞ্চ থেকেই তৃণমূল নেত্রী বিজেপি বিরোধী জোটকে মজবুত করার বার্তা দেবেন, মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

কলকাতা, ২০ জুলাই:- তৃণমূল কংগ্রেসের বার্ষিক শহীদ সমাবেশ আগামীকাল। সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচন এবং সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা উপ নির্বাচনে দলের সাফল্যকে সামনে রেখে এবারের শহীদ সমাবেশ তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। তাই মঞ্চ সজ্জা থেকে জমায়েত সবকিছুই এবার অন্যবারের থেকে কিছুটা বেশি জমকালো হতে চলেছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। কলকাতা থেকে জেলায় সর্বত্র প্রস্তুতি শেষ লগ্নে। প্রত্যেক জেলা থেকে নেতা–কর্মী থেকে সমর্থকরা আসতে শুরু করেছেন। মঞ্চ থেকে শুরু করে যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে। দূরবর্তী জেলা থেকে আসা কর্মী সমর্থকদের কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, উত্তীর্ণ, সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক, নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র–সহ একাধিক গেস্ট হাউসগুলিতে রাখা হয়েছে। এদিকে একুশে জুলাই এর সমাবেশ উপলক্ষে বিপুল জনসমাগম সামাল দিতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একুশে জুলাই এর শহীদ দিবসের কর্মসূচি তৃণমূল কংগ্রেসের সব থেকে বড় বাৎসরিক কর্মসূচি।

সাম্প্রদায়িক নির্বাচনী সাফল্যকে পুঁজি করে এই সমাবেশ মঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী রাজ্যের আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির দিশা দেখাতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া বিজেপি বিরোধী জোটকে মজবুত করার বার্তাও এবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম সদস্য সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব আগামীকালের সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন। প্রতিবারের মতো এবারও ভিক্টোরিয়া হাউস এর সামনে তিনটি মঞ্চ বাধা হয়েছে সব থেকে বড় মঞ্চটিতে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি সহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। বাকি দুটি মঞ্চে সংসদ বিধায়ক সহ জনপ্রতিনিধি ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। আগামীকাল বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় মঞ্চ শয্যায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা হচ্ছে। একুশের মেগা সমাবেশকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ধর্মতলা চত্বরকে।

সমাবেশ স্থলে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে আগামীকাল রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় নিত্যযাত্রীদের চাপ কম থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। ৫০০০ পুলিশের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে চার হাজার স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হয়েছে। সারা শহরে থাকবে জয়েন্ট স্ক্রিন। মূল মঞ্চকে মোট তিনটি বলয়ে ভাগ করা হয়েছে। একদম সামনের ভাগে থাকার কথা মমতা ব্যানার্জি এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের। প্রথম বলয়ের মূল মঞ্চের দায়িত্বে থাকছেন একজন ডিসি, তিনজন এসি, পাঁচ ইন্সপেক্টর, পাঁচ সাব ইন্সপেক্টর, ৪০ পুলিশকর্মী, ১০০ সাদা পোশাকের পুলিশ এবং ৫০ ব়্যাফ। মঞ্চ সংলগ্ন এলাকায় মোতায়েন করা হচ্ছে কমান্ডো। আশেপাশের বহুতল থেকে চলবে কড়া নজরদারি। পাঁচ বছর পর রবিবার পড়েছে ২১ জুলাই। অফিস ছুটি থাকায় নিত্যযাত্রীদের চাপ কম। ফলে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকতে মধ্য কলকাতা এবং ধর্মতলা এলাকায় থাকছে ১৫০০ ট্রাফিক। সভা শেষের পর যাতে কর্মীদের ফিরতে অসুবিধা না হয় সেদিকেও নজর রয়েছে পুলিশের।