হুগলি, ১৯ জুলাই:- হুগলি জেলা হাসপাতালে একই দিনে সিজার হওয়া সংকটজনক পাঁচ প্রসূতির একজনের মৃত্যু,আশঙ্কাজনক তিনজন ভর্তি কলকাতার হাসপাতালে। একজন ভর্তি চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের সিসিইউতে। কি কারনে এমন হল তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে প্রতিনিধি দল আসবে জেলায়। হাসপাতালের চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। চুঁচুড়ার ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে হুগলি জেলা সহ জেলার বাইরে থেকেও আসেন বহু রুগি। কি কারনে একসঙ্গে পাঁচ জন প্রসূতি সিজারের পর অসুস্থ হয়ে পরলো খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্ক মৌলি কর। যে ডাক্তার সিজার করেছিলেন তার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে বলে জানান জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারী। তিনি আরো জানান, কি কারনে প্রসূতি দের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলো দেখতে একটি এক্সপার্ট কমিটি তাদের মতামত দেবে।
ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমরাও চিন্তিত আছি। এক প্রসূতির ভাসুর সেখ সজল বলেন, গত সোমবার আমরা ভর্তি করেছিলাম। সিজার হওয়ার সুস্থই ছিল। ভর্তির আগে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। লিফ্ট দিয়ে না উঠে সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে উঠেছিল আমার ভাইয়ের স্ত্রী। রাতে জানানো হয় যে রাতে জানানো হয় অবস্থা খারাপ।তারপরে আমরা সিসিইউ তে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করি। ডাক্তাররা দেখে বিভিন্ন রকম মতামত দিতে থাকে। হাসপাতাল থেকে যা যা বলেছে, রক্ত থেকে শুরু করে ইনজেকশন এনে দিয়েছি। সাত হাজার টাকা দামের ইনজেকশন কিনে দিই। তারপরও রোগীকে কলকাতায় রেফার করেছে। সেখানে রক্ত পরীক্ষা হয়েছে কিডনির সমস্যা রয়েছে। হুগলি জেলায় ২০২২-২৩ সালে ৬২ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়। ২৩-২৪ সালে ৪২ জন এবং চলতি বছরে এখনো পর্যন্ত ১৭ জনে মৃত্যু হয়েছে।