হুগলি, ১৭ জুলাই:- পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পান্ডুয়ার খন্যান পন্ডিত পাড়ার বাসিন্দা ধনঞ্জয় পন্ডিতের ছেলে অর্পণ পণ্ডিত (১৭)। ইটাচুনা শ্রী নারায়ন ইনস্টিটিউশন এর ক্লাস নাইনের ছাত্র ছিল সে। গতকাল বিকালে উল্টো রথ দেখতে বন্ধুদের সঙ্গে মগড়ার হোয়েরায় যায়। রাত হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি। ছেলেকে খুঁজতে খন্যান চৌমাথায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ধনঞ্জয়। তিনি দেখেন অর্পণের তিনজন বন্ধু অটো করে বাড়ি ফিরছে। তাদের জিজ্ঞাসা করেন অর্পণ কোথায়?বন্ধুরা সদুত্তর দিতে পারেনি।তখন বন্ধুদের নিয়েই অর্পণের বাবা মগড়া থানায় যান। থানায় গিয়ে জানতে পারেন এক কিশোরকে পুলিশ আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মগড়া হাসপাতালে নিয়ে গেছে। সেখানে গিয়ে ছেলেকে দেখতে পান বাবা। অবস্থার অবনতি হওয়ায় মগড়া থেকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের। ঘটনায় মৃত ছাত্রের বাবা ধনঞ্জয় পন্ডিত অভিযোগ করেন তার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে এবং এই ঘটনার জন্য তার বন্ধুরাই দায়ী।
অর্পণের দিদি পূজা ধারা বলেন, আমার ভাই প্রতিবন্ধী। তাকে এভাবে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। দোষীদের শাস্তি চাই। অর্পণের বন্ধু মহাদেব ধারার মা আলপনা ধারা জানান, তার ছেলে প্যান্ডেলের কাজ করে।কাজ থেকে ফিরে প্রতিদিনই বিকালে বাইক নিয়ে বেরোয়। গতকাল কোথায় গিয়েছিল কিছু বলে যায়নি। তারপর রাতে শুনলাম এই ঘটনা। অর্পণ মহাদেবের বাইকের চাবি নিয়ে বলেছিল, ঘুরে আসি। অর্পণের আরেক বন্ধু বাপ্পা ধারার দাদা বিকাশ ধারা বলেন, গতকাল ওরা হোয়েরায় রথ দেখতে গিয়েছিল। তারপর যখন অর্পণকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ভাইরা মগড়া থানায় গিয়ে খোঁজ খবর করে। তিন বন্ধুকে থানায় জিজ্ঞাসবাদ করছে মগড়া থানার পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান বাইক চালাতে গিয়ে জিটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিবার লিখিত অভিযোগ করলে সব দিক খতিয়ে দেখা হবে। মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর স্পস্ট হবে মৃত্যুর কারন।