এই মুহূর্তে জেলা

চুঁচুড়ার শিশু বিজ্ঞান কেন্দ্র জঙ্গলে ভরেছে, সাপের আতঙ্কে বাসিন্দারা।

হুগলি, ৯ জুলাই:- চুঁচুড়া শহরে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুজন বাগান এলাকায় রয়েছে শিশু বিজ্ঞান কেন্দ্র। বাম সরকারের আমলে শহরে বিজ্ঞান চর্চা ও স্কুল-কলেজের সেমিনার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার জন্য এই হল তৈরী করা হয়। ২০০০ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু এর উদ্বোধন করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে ট্রাস্ট গটন হয়।সেই ট্রাস্ট এই কেন্দ্রটি দেখভাল করত। তৃনমূল ক্ষমতায় আসার পর হুগলি চুঁচুড়া পুরসভা সেই কেন্দ্র অধিগ্রহন করার চেষ্টা করে। বিগত কয়েক বছর ধরে শিশু বিজ্ঞান ভবন অনাদরে পরে রয়েছে। দেওয়াল বেয়ে গাছ উঠেছে, বন জঙ্গলে ভরেছে।বট অশ্বত্থের ডাল পাশের বাড়িতে ঝু্ঁকে পরেছে। আম গাছের পাতা পরে নষ্ট করছে ছাদ।সঙ্গে বাড়ছে সাপের উপদ্রব। কয়েকদিন আগে শিশু বিজ্ঞান কেন্দ্রের লাগোয়া বাড়ির বাসিন্দা বদ্ধা শংকরি চক্রবর্তীকে সাপে কামরায়।তিন দিন হাসপাতালে ভর্তি থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। বৃদ্ধা জানান ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। তার বোন জানান, পুরসভাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। সুজন বাগান এলাকাতেই রয়েছে একটি পুকুর। যেটা এখন আর পুকুর বলে বোঝার উপায় নেই। আগাছার জঙ্গল আর কচু বন হয়ে গেছে। ফলে নিকাশি বন্ধ হয়ে পরেছে। সাপ খোপের আড্ডা, মশা পোকা মাকড়ের উৎপাতে বাসিন্দাদের অবস্থা খারাপ। আজ বিষয়টি জানতে পেরে সুজন বাগানে যান চুঁচুড়া পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তের সিআইসি জয়দেব অধিকারী।

তিনি ফোন করে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চন্দিমা সরকার বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকেন। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। জয়দেব অধিকারী বলেন, পুকুরটা কাদের সেটা দেখে তাকে পুরসভায় ডেকে পরিষ্কার করানোর ব্যবস্থা করব। শিশু বিজ্ঞান কেন্দ্রটি পুরসভা অধিগ্রহন করেছিল কিন্তু সেটা নিয়ম মেনে হয়নি, ভুল হয়েছিল তাই যে ট্রাস্টের হাতে ছিল আদালত তাদের ফিরিয়ে দেয়। সরকারি জমিতে এই হল তৈরী হয়েছিল। জেলা গ্রন্থাগারের পাশেই এই হল। পুরসভার সম্পত্তি নয় তাই পুরসভা পরিষ্কার করতে পারছে না। তবে শহর পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব যেহেতু পুরসভার তাই যদি পুরসভাকে চিঠি করে জানায় আমরা জঞ্জাল পরিষ্কার করিয়ে দেব। বৃদ্ধাকে সাপে কামড়েছে শুনলাম খুবই দুঃখজনক ঘটনা। পুরসভার প্রাক্তন সিপিআইএম কাউন্সিলর সমীর মজুমদার বলেন, তৃণমূল পুরসভা দখল করার পর শিশু বিজ্ঞান কেন্দ্রটি নিয়ে নেবার চেষ্টা করে। এর বিরুদ্ধে আমরা আদালতে যাই।আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেয়। তার পর থেকেই টালবাহানা করছে পুরসভা চাবি হ্যান্ডওভার করেনি। আমরা একাধিক বার পুরসভা কে চিঠি করে দরবার করেছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এখন খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে শিশু বিজ্ঞান কেন্দ্রটি। ওখানে জঙ্গল হয়ে একজন বৃদ্ধাকে সাপে কামড়েছে বলে শুনেছি। সাধারণ মানুষের স্বার্থে যাতে শিশু বিজ্ঞান কেন্দ্রটি ব্যবহার করা যায় তার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।