এই মুহূর্তে জেলা

ডিএমের সঙ্গে মিটিং এর পর দখল করা সরকারি জায়গা পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু বাঁশবেড়িয়ায়।

হুগলি, ৮ জুলাই:- বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের আট একর জায়গা পতিত পড়েছিল। ২০১৬-১৭ সালে তার তিন একর জায়গা দখল হয়ে যায়। বলা ভালো তৎকালীন বাঁশবেড়িয়া পুরো বোর্ড গরিব মানুষদের মধ্যে সেই জমি বিলি করে। রাস্তা বিদ্যুৎ জলেরও ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী সরকারি জায়গা উদ্ধারের কথা বলার পর গত ২৯ শে জুন হুগলি জেলাশাসক মুক্তা আর্য পুরো প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে জেলাশাসক নির্দেশ দেন সরকারি যে জায়গা আছে তার পরিমাপ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ভোট লাগিয়ে দিতে। প্রয়োজনে বেড়া দিয়ে ঘিরে দিতে। আজ বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের পর্যটন দপ্তরের ওই জমিতে পর্যটন মাপজোক করে দপ্তরের বোর্ড লাগাতা যায়। পর্যটন দপ্তরের এবং মগরা থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। বাঁশবেরিয়া পুরসভার পুরো প্রধান আদিত্য নিয়োগী জানান, ২০১৫ সালের পর যে পুরো বোর্ড গঠিত হয়েছিল সেই বোর্ডে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন, চেয়ারম্যান ছিলেন অরিজিতা শীল। তার স্বামী সত্যরঞ্জন শীল বাঁশবেড়িয়ার প্রভাব শালী তৃনমূল নেতা।

সেই পুরো বোর্ড সরকারি জমি এইভাবে নিয়ম না মেনে বিলি করে দেয়। এই সমস্ত বেনিয়মের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় তাকে গুলি খেতে হয়। তার দলেরই কাউন্সিলরদের একাংশ সে সময় ওই মানুষদের সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন কুড়ি বছরের বেশি তারা বসবাস করছে, যেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। চেয়ারম্যান বলেন, আমি এসব বেনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলেছি বলে কিছু কাউন্সিলর আমার বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছে। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বিষয়টা জানিয়েছি। প্রসঙ্গত বাঁশবেরিয়া পুরসভায় লোকসভা নির্বাচনের পর দেখা গেছে সাড়ে ১১ হাজার ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপি থেকে পিছিয়ে রয়েছে। এরপরই বিরুদ্ধে সরব হয় কাউন্সিলর। তৃণমূল কাউন্সিলরদের অভিযোগ চেয়ারম্যান কোন কাজ করতে দেন না তিনি তার পেটুয়া লোকজন নিয়ে চলাফেরা করেন বোর্ড মিটিং হয় নামে যে কারণে তারা স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকেও পদত্যাগ করেছেন।

বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম কাউন্সিলর সরস্বতী ভট্টাচার্য জমি মাপ জোক হচ্ছে দেখে আসেন। তিনি বলেন, এলাকায় যারা বসবাস করছে তারা খেটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুর পরিচারিকার কাজ করেন। খুব অল্প জায়গায় কোনভাবে ঘর করে বসবাস করছেন। তারা ট্যাক্স দেন জলের লাইন আছে বিদ্যুৎ পেয়েছেন। এখন একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে তারা চলে গেল। সরকারি কি ব্যবস্থা কি প্রকল্প সেটা আমরা জানি না কিন্তু এরা দীর্ঘদিন ধরে এখানে বসবাস করে। সরকার ভাবলে মানুষের জন্য পুনর্বাসনের কথা হতো চিন্তা করতে হবে। আমরা জানি এই জমিটা একটা সময় একটা কারখানা ছিল। এখন পর্যটন দপ্তর বলছে জমিটা তাদের। জমিটা দীর্ঘদিন ফাঁকা অবস্থায় পড়েছিল। আমরা জেলা শাসকের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানব। এখন এই মানুষগুলো কোথায় যাবে, তাদের পুনর্বাসন দিতে হবে।