হুগলি, ১৯ জুন:- প্রকাশ্যে এলো বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল হুগলিতে। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চন্দননগর বিধানসভার মন্ডল ২ অর্থাৎ দক্ষিণ মন্ডলে মহিলা মোর্চার এক নেত্রীকে অশালীন মন্তব্য করেন দক্ষিণ মন্ডলেরই এক বিজেপি কর্মী সামাজিক মাধ্যমে। পরবর্তী সময় মহিলা মোর্চার নেত্রী চন্দননগর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেন। মহিলা মোর্চার নেত্রীর অভিযোগ চন্দননগর থানা অভিযুক্ত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করলে পরবর্তী সময়ে চন্দননগর উত্তর ও দক্ষিণ মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক তথা হুগলি জেলার সভাপতি বিষয়টি জানার পর অভিযুক্ত যুবকের পাশে দাঁড়িয়ে তাকে থানা থেকে ছাড়িয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন একজন মহিলা অভিযোগ জানাবার পরেও কিভাবে জেলা সভাপতি অভিযুক্ত যুবকের পাশে দাঁড়ালেন।
মহিলা অভিযোগ করেন বিগত দিনে আমার সঙ্গে ওই যুবক সাক্ষাতের পর থেকে বারবার ফোন সহ অছিলায় একাধিকবার কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন। আজ আমি নিরুপায় যে আমার কাছে কিছু নেই আমি একটি মহিলা। দীর্ঘদিন বিজেপি ভালোবেসে করে এসেছি। বর্তমানে এই সমস্ত কর্মীরাই দলকে অধঃপতনে এনে আমাদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার শুরু করেছে। তার উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয় নিয়ে হুগলি জেলার বিজেপি সাংগঠনিকের সভাপতি তুষার মজুমদার জানান বিষয়টি নিয়ে আমি অবগত নই। আর আমার বিরুদ্ধে ওটা অভিযোগ কি সম্পূর্ণই মিথ্যা। এ বিষয়ে আমি খোঁজ খবর নেব। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে আমি উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এই বিষয় প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় জানান বিষয়টি নিয়ে আমি নিজে হাতে দেখব।
আমাদের দলের মহিলা সুরক্ষায় আমাদের প্রথম কর্তব্য। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে তাহলে দলের নিয়ম অনুসারে যেটা করণীয় সেটাই আমরা করব। আমরা প্রথম থেকেই মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি। তাই আমি একজন মহিলা হয়ে বিষয়টি তদন্ত করব। এখন প্রশ্ন চিহ্ন হল বিগত দিনে তথা লোকসভা নির্বাচনের আগে সন্দেশখালীর ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছিল রাজনৈতিক মহলে। প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির উচ্চতর নেতৃত্ব দাও সন্দেশখালি তথা মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে আওয়াজ তুলতে দেখা গেছিল। কিন্তু বর্তমানে বিজেপির অন্ধরে মহিলা কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেল। তাহলে বিগত দিনে বিজেপির কার্যকর্তারা মহিলাদের নিরাপত্তা নিছো কি লোক দেখানো। আগামী দিনে হুগলী সাংগঠনিক বিজেপির দলের ব্যবস্থা গ্রহণের মধ্য দিয়ে তা স্পষ্ট হবে।