এই মুহূর্তে কলকাতা

কলকাতায় ভোটের আগে টানা ১০ দিন বাসের অভাবে নাকাল হওয়ার সম্ভাবনা।

কলকাতা, ২২ মে:- ভোটের আগে থেকেই কলকাতার রাস্তা থেকে অধিকাংশ বাস ও মিনিবাসের উধাও হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। যা নিয়ে আশঙ্কা ছড়িয়েছে জন মানসে। সপ্তম তথা শেষ দফায় আগামী ১ লা এপ্রিল ভোট গ্রহণ কলকাতায়। ভোটের আগে ২৮ মে থেকেই ৭ কলকাতা ও শহরতলি থেকে ৯০ শতাংশ বাস-মিনিবাস রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হবে। পাশাপাশি ষষ্ঠ দফার ভোটের আগে ২৩মে ৭ কলকাতা থেকে ৪০ শতাংশ বাস- মিনিবাস তুলে নেওয়া হবে। সবমিলিয়ে ২৩ মে থেকে ১ জুন, টানা ১০ দিন বাসের অভাবে নাকাল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এমনই আশঙ্কা করছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকেরা। তাঁদের দাবি, যারা লোকাল ট্রেন, মেট্রো রেল, অটোতে করে যাতায়াত করেন, তাঁদের তেমন একটা ভোগান্তি হবে না। কিন্তু এর বাইরে যে যাত্রীরা নিত্যদিন যাতায়াত করেন তাঁদের ভোগান্তি হবে মাত্রাছাড়া। বছরের অন্যান্য সময় বাস-মিনিবাস অমিল থাকলে অনেকেই অ্যাপ ক্যাব ভাড়া করে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু ভোটের জন্য সেই ক্যাবের সিংহভাগই তুলে নেওয়া হচ্ছে। ফলে চাহিদা মতো ক্যাবও পাওয়া যাবে না। আর যে ক’টি ক্যাব রাস্তায় থাকবে, তার ভাড়াও আকাশছোঁয়া হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা।

জানা গিয়েছে, এবারের ভোটে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম সহ দুই মেদিনীপুরের মতো জেলাতে বাহিনী পাঠাতে হচ্ছে ৭ কলকাতা পুলিশকে। সূত্রের খবর, ষষ্ঠ দফায় দুই মেদিনীপুরের ভোটে ৩ হাজার পুলিশকর্মী ৭ কলকাতা থেকে রওনা দেবেন। তাঁদের যাতায়াতের জন্য বাসের প্রয়োজন। ফলে মানুষের যাতায়াতের জন্য শহরে বাসের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কম থাকবে। এই অবস্থায় সিটি সুবারবান বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটো সাহা বিস্ফোরক দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, ‘কার্যত জোর করে প্রতি রুট থেকে সব বাস তুলে নেওয়া হচ্ছে। তার ফলে গণ পরিবহণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। আমরা প্রশাসনকে বারবার অনুরোধ করেছিলাম, রুট থেকে ৩০ শতাংশ বাস তোলা হোক। কিন্তু তা হয়নি। ফলে ভোগান্তি অনিবার্য। আমরা নিরুপায়। যাত্রীদের কাছে আগাম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’ এমনিতেই কোভিডের পর কলকাতার প্রায় সব রুট থেকেই কমবেশি বাস কমে গিয়েছে। তার জায়গায় নতুন বাস পথে নামেনি। সরকারি বাস চলাচলেরও একই হাল। পাশাপাশি ১৫ বছরের সময়সীমার জেরে রোজ কিছু সংখ্যক বাস বাতিল হচ্ছে। সেই জায়গায় রুটে নতুন বাসের জোগান নেই। এরপর মরার ওপর খাঁড়ার ঘা দিচ্ছে ভোট।