এই মুহূর্তে জেলা

লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে আপনার কি অবস্থান? লকেটের কাছে জানতে ভোটারদের উদ্দেশে অভিষেক।

হুগলি, ১৭ মে:- শুক্রবার ভোটপ্রচারে হুগলি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।প্রথমেই হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে জনসভা করছেন তিনি। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ধনিয়াখালির কংসারিপুর মাঠে এদিন দেখা গেলো জনযোয়ার। এদিন জনসভা থেকে অভিষেক বলেন, ভোট দিতে যাওয়ার আগে মাথায় রাখবেন জনবিরোধী, বাংলাবিরোধী গিজেপি সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। ৪ জুন ভারতবর্ষের বুকে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে।’’আপনাদের ভোট ঐতিহাসিক ২০ মে। যে ২০ তারিখ ২০১১ সালে ৩৪ বছরের বাম অপশাসনের অবসান ঘটিয়ে প্রথম বার বাংলার মাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন। আর এই ২০ তারিখ আপনারা ভোট দিতে যাবেন, তখন আপনারা খালি বিজেপির অত্যাচারের কথা মাথায় রেখে দেবেন।

আমাদের শপথ নিতে হবে যাঁরা ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে, যাঁরা কালো কৃষি আইন এনে ৭০০ কৃষককে অত্যাচার করেছে, তাঁদেরকে যোগ্য জবাব দিতে হবে ২০ তারিখ। অভিষেক এদিন আরো বলেন, ‘‘এই ধনেখালি বিধানসভা থেকে ২০১৯ সালে আমাদের জয়ের ব্যবধান প্রায় ১২ হাজার ছিল। পরবর্তী কালে ২০২১ সালে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে অসীমা পাত্রকে জয়ী করেছিলেন আপনারা। আমি অসীমা দিকে সাক্ষী রেখে বলছি, এই গ্রামে যত রাস্তা দেখছেন, সব আমাদের সরকার করেছে। কেন্দ্র সরকার কিছু করেনি।’’ আগামী দিন আমাদের প্রার্থী যদি ৩০ থেকে ৩৫ হাজার ব্যবধানে জেতে, তা হলে আমরা ৫০ কোটি টাকার গ্রামীণ রাস্তার কাজ তিন মাসের মধ্যে শুরু করে দেব।’’ যে বিজেপি লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করতে চায়, সেই বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দেবেন তো? ভয় পাবেন না। কেউ লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করতে পারবে না। আপনার লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করার ক্ষমতা কোনও নেতার নেই।

আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি। রাজ্যে যত দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার থাকবে, তত দিন আমরা লক্ষ্মীর ভান্ডার বুক দিয়ে আগলে রাখব। প্রধানমন্ত্রী চাইলেও বন্ধ করতে পারবেন না। হুগলির সভা থেকে বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘‘লকেট চট্টোপাধ্যায় ভোট চাইতে গেলে জিজ্ঞেস করবেন, আপনার দলের নেতৃত্বে বলেছেন লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেবেন, এ নিয়ে আপনার অবস্থান কী? আপনি কি চান লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাক, লকেটকে জিজ্ঞেস করবেন।’’ এছাড়াও বলেন,‘‘মহিলাদের অপমান করেছে বিজেপি। সন্দেশখালি নিয়ে কী ভাবে বাংলার মানসম্মান নষ্ট করেছে? বিজেপি নেতাই বলছেন, সন্দেশখালিতে কোনও ধর্ষণ হয়নি। আমরা মহিলাদের দু’হাজার টাকা দিয়ে ভুয়ো অভিযোগ করিয়েছি, তৃণমূলের নেতাদের গ্রেফতার করানোর জন্য। সারা দেশের কাছে বাংলার সম্মান নষ্ট করেছে।’’ এসবের জবাব বাংলার মানুষ দিয়ে দেবে। এদিন সভায় মহিলাদের উপস্থিত ছিল চোখে পড়ার মত।