হুগলি, ১৬ মে:- চুঁচুড়া কপিডাঙার বাসিন্দা প্রিয়বালা কুন্ডুর বয়স একশ বছর। ২০০৯ সালে লোকসভা ভোটে শেষ বার তিনি ভোট দিয়েছিলেন। তার পর অজ্ঞাত কারনে ভোটার তালিকা থেকে তার নাম বাদ পড়ে। ভোটার কার্ড থাকলেও তালিকায় নাম না থাকায় ভোট দিতে পারতেন না। ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য অনেক চেষ্টা করেন বৃদ্ধার নাতিরা। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। অবশেষে গত ২৫ শে জানুয়ারী জাতীয় ভোটার দিবসের দিন বিষয়টি জানতে পারেন সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা।তিনি বৃদ্ধার বাড়ি আধিকারীকদের পাঠিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তোলার ব্যবস্থা করেন। নতুন এপিক হাতে পান বৃদ্ধা। নির্বাচন কমিশন ৮০ বছরের উর্ধ্বে যারা ভোটার তাদের বাড়িতে গিয়ে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
সেইমত আজ বাড়িতে বসেই ভোট দিলেন অশীতিপর বৃদ্ধা। কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে নিয়ে ভোট কর্মিরা বৃদ্ধার বাড়ি গিয়ে তার ভোট গ্রহন করেন। দীর্ঘদিন পর ভোট দিতে পেরে যারপরনাই খুশি বৃদ্ধা। একশ বছর পেরিয়েছে কানে একটু কম শোনেন ভালো হাঁটাচলাও করতে পারেন না। তবে তার ইচ্ছা ছিল শেষ বয়সে একবার ভোট দেবেন। সেই ইচ্ছা পূরন হয়েছে। বৃদ্ধার নাতি সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, ঠাকুমা ভোট দিতে পারতেন না। তালিকায় নাম তুলতে অনেক চেষ্টা করেছি। অবশেষে ঠাকুমা ভোট দিতে পারলেন। ঠাকুমার রেশনও বন্ধ হয়ে গেছে।প্রশাসন ভেবেছিল হয়ত ঠাকুমা মারা গেছেন। উনি যে বে়ঁচে আছেন তা আজ ভোট দিয়ে প্রমান করলেন।