এই মুহূর্তে জেলা

প্রধানমন্ত্রী আসার আগেই গোষ্ঠীদ্বন্দতে জেরবার হুগলি জেলা বিজেপি।

হুগলি, ১০ মে:- আগামী ২০ তারিখ হুগলি জেলায় লোকসভা ভোট।আর ১২ তারিখ চুঁচুড়া মাঠে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় এর সমর্থনে সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।আর তার আগেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার হুগলি জেলা বিজেপি।এদিন হুগলি বিজেপি কার্যালয়ে নির্বাচনী বৈঠক চলাকালীন জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি কর্মীরা।আর সেই বিক্ষোভের ভিডিও ভোটের আগেই এভাবে প্রকাশ্যে চলে আসায় অস্বস্তি বেড়েছে হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি নেতৃত্বের।জানা গেছে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি দলের নির্বাচনী বৈঠক ছিল আজ। আর সেখানে উপস্থিত ছিল বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার থেকে শুরু করে বিজেপি নেতৃত্ব।

বৈঠক চলাকালীন জেলা নেতৃত্বের উপর হঠাৎ ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে দলের কর্মীরা।রীতিমত জেলা কার্যালয়ে চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায়।নেতৃত্বের দিকে তেড়ে যেতেও দেখা যায় কয়েকজনকে।মূলত বিজেপি কার্যালয় নিজেদের দ্বন্দ্বে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।বিজেপি কর্মীরা নেতৃত্বের বদল চেয়েও বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। এরপর দেখা যায় বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছে যে এখন সামনেই নির্বাচন এখন সবাইকে একসাথে দলের জন্য কাজ করতে হবে।নিজেদের কথা ভাবলে হবেনা।ভোট মিটলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু বিজেপি প্রার্থীর কথাতেও চিরে ভেজেনি কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে দলীয় কার্যালয় ছেড়ে বেরিয়ে যান।

আর ভোটের আগেই এভাবে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি প্রার্থী থেকে বিজেপি নেতৃত্ব। আর এই বিষয়ে তৃণমূলের হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক চেয়ারম্যান অসীমা পাত্র বলেন,ভোটের আগেই বিজেপির আসল চেহারা সকলের প্রকাশ্যে চলে আসছে।এদের দলের এমন অবস্থা যে প্রার্থীকে কর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত জোড় করে বিনতি করে শান্ত করতে হচ্ছে।আসলে এরা অন্যকে চোর বলে কিন্তু এদের দলের নেতারাই আসল চোর সেটা জানতে পেরেই এখন নিচুতলার কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছে। আর এই বিষয়ে বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন,

এটা তেমন বড় কিছু নয়।সবার সাথে সবার তো মতের মিল হয়না। তাই একটু নিজেদের মধ্যে কেউ একটু চেঁচিয়ে কথা বলেছে।আর কয়েকটা মন্ডলকে ডাকতে ভুলে যাওয়া হয়েছিল তাই তারা একটু বলেছে নেতৃত্বকে এটা তেমন কিছুনা। সব মিটমাট হয়ে গেছে। কিন্তু বিজেপি সভাপতি যতই বিষয়টি ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করুক বিজেপির কার্যালয়ের বিক্ষোভের ভিডিও ভোটের আগে এভাবে প্রকাশ্যে চলে আসায় বিজেপি দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আবার সকলের সামনে চলে আসায় অনেকতা ক্ষতি হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।