এই মুহূর্তে জেলা

প্রাচীন রীতি মেনে জগন্নাথের কপালে চন্দন লেপে আজও মাহেশে হয় চন্দন যাত্রা উৎসব।

হুগলি, ১০ মে:- মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরে অনুষ্ঠিত হলো জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রা উৎসব। অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ দিনে প্রভু জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রা উৎসব হয়। এদিন সকাল থেকেই মাহেশের জগন্নাথের শরীরে চন্দন লেপন করা হয়। চন্দন যাত্রা উৎসবকে ঘিরে মন্দির চত্বর মুখরিত হয়ে ওঠে। ভোর চারটের সময় মঙ্গল আরতির পর শুরু হয় প্রভুর বিশেষ পুজা পাঠ। মহিলা ভক্তরা মন্দিরে এসে চন্দন বাটেন। বেলা দশটার পর শুরু হয় চন্দন যাত্রা উৎসব। মাহেশ জগন্নাথ দেব ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী জানান, প্রচন্ড গরমে আমাদের যেমন মাথা ধরে তেমনি মানব রূপী ভগবান মহাপ্রভুরও এই সময়ে মাথার যন্ত্রণা হয়, মাথা ধরে। কথিত আছে এমনি এক বৈশাখ মাসে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন কে প্রভু জগন্নাথ দেব আদেশ করেন।

তার শরীর খারাপ হয়েছে মাথায় যন্ত্রণা হচ্ছে, যেন মাথায় চন্দনের প্রলেপ দেবার বন্দোবস্ত করা হয়, রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন মহাপ্রভুর আদেশ মত মাথায় চন্দনের প্রলেপ করেন। সেই সময় কাল থেকে নিরচ্ছিন্নভাবে এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে। পিয়াল আরও জানান, এই দিন মাহেশের প্রভু জগন্নাথ দেবের মন্দিরে প্রভু জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রার মাথায় চন্দন প্রলেপ করা হয় যাতে তার শিরপীড়া সেটা দূর হয়, এবং আজ থেকে টানা ৪২ দিনব্যাপী প্রভুর মাথায় এই চন্দন লেপন চলবে, ৪৩ দিনের মাথায় অনুষ্ঠিত হবে মাহেশের মন্দিরে প্রভু জগন্নাথ বলরাম এবং সুভদ্রার স্নানযাত্রা উৎসব, সেই উৎসবকে ঘিরে হাজার হাজার ভক্ত মানুষের মধ্য বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। স্নান যাত্রার পর প্রভুর ধুম জ্বর আসে।লেপ কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেন। এরপর কবিরাজের পাঁচন খেয়ে জ্বর সারলে রথে চেপে মাসির বাড়ি যাত্রা করেন। পুরীর পর ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীন রথযাত্রা উৎসব হল মাহেশের এবার যা ৬২৮ বছরে পরবে।