এই মুহূর্তে কলকাতা

বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তির ঘটনা ঘটলেও, নির্বিঘ্নেই শেষ হলো দ্বিতীয় দফার ভোট।


কলকাতা, ২৬ এপ্রিল:- নির্বিঘ্নেই শেষ হল রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ। সকালের দিকে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু অশান্তির ঘটনা ঘটলেও বেলা গড়ানোর পরে নিস্তরঙ্গ হয়ে পড়ে ভোট প্রক্রিয়া। শুক্রবার ভোট হয়েছে উত্তরবঙ্গের তিন আসন দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলার তিন আসনে ভোটদানের হার ৭০ শতাংশের বেশি। যার মধ্যে সব থেকে এগিয়ে বালুরঘাট। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আরিজ আফতাব জানিয়েছেন, প্রবল গরম ও চড়া রোদ্দুর উপেক্ষা করে মানুষ বিপুল উৎসাহের সঙ্গে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। এদিন তিন আসনে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোট গড় ভোটের হার ৭১.৮৪ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে বালুরঘাটে। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বালুরঘাটে ৭২.৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এছাড়া দার্জিলিঙে ৭১.৪১ শতাংশ এবং রায়গঞ্জে ৭১.৮৭ শতাংশ ভোট পড়ার তথ্য মিলেছে। দার্জিলিংয়ের পাহাড় থেকে তড়াই ডুয়ার্সে ভোট হয়েছে উৎসবের মেজাজে। তীব্র গরম ও দুপুরের দিকে বুথে মানুষের ভিড় কমলেও বিকেলে রোদ্দুর পড়ার পর আবার মানুষকে বুথমুখী হন। যেভাবে ভোট হয়েছে তাতে সন্তুষ্ট শাসক বিরোধী উভয় পক্ষই। খুশি নির্বাচন কমিশনও। মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব বলেন, আজকের ভোট একেবারে ঘটনা বিহীন ছিল।

তবে সকলের দিকে কিছু ইভিএম খারাপ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। চটজলদি মেরামত করা হয়েছে। এছাড়া কমিশনের কাছে দিনভর জমা পড়া ৪৫৬ টি অভিযোগই খতিয়ে দেখে য়থাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বলেন মোটের উপর ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি খুশি। যদিও সকাল থেকে বেশ কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ভোট উৎসবের তাল কেটেছে। এরই মধ্যে দার্জিলিং কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তআর ৪০ টিরও বেশি বুথে পুননির্বাচনের দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।চোপড়া ও পাহাড় মিলিয়ে এই বুথ গুলিতে পুননির্বাচন করার জন্য তিনি নির্বাচন কমিশনকে দাবি জানিয়েছেন তিনি। এদিকে চোপড়ার আমতলা বুথে অবৈধ জমায়েত করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানরা লাঠি উঁচিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। রায়গঞ্জের দেবপুরী দেবীনগর এলাকায় কংগ্রেসের মহিলা পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গঙ্গারামপুরের নাড়ুই বুথে ভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

তপন বিধানসভার পতিরামে বুথের সামনেই বিজেপির এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে পেয়ে বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার সেখানে গেলে তাকে ঘিরে ধরে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। সুকান্ত বাবু অভিযোগ করেন ইটাহার সহ বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা ভোটারদের বাধা দিচ্ছেন। সঠিকভাবে এরিয়া ডমিনেশন হয়নি বলেই তার অভিযোগ। এদিকে বালুরঘাট পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট দিতে আসা বিজেপি কর্মী রাখি শীলকে তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতির স্ত্রী রুবিতা মহন্ত চড় মারেন বলে অভিযোগ উঠেছে! যদিও তিনি ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস রায়গঞ্জ ও শিলিগুড়ির একাধিক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ এনেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে এজেন্টের না বুঝতে দেওয়া সাধারণ ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। এ নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।