এই মুহূর্তে জেলা

ইউক্রেনের যুবক ব্যান্ডেলের পুকুরে।

হুগলি, ২৫ এপ্রিল:- ইউক্রেনের বাসিন্দা বছর উনচল্লিশের মাইকোলা দিমিত্রভিচ তিনি কৃষ্ণ ভক্ত। মাইকোলা নদীয়ার মায়াপুরে ইস্কনের সঙ্গে যুক্ত। সেখানেই থাকতেন। মাস খানেক আগে, ব্যান্ডেল মেরি পার্কের একটি নেশা মুক্তি কেন্দ্রে তিনি ভর্তি হন বলে এলাকাবাসীরা জানান। বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ ব্যান্ডেল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মেরিপার্ক পুকুর পাড়ে থাকা ওই কেন্দ্র থেকে ছুটে চলে আসেন পাশেই চুঁচুড়া পুরসভার কৈলাশনগরে। সেখানে শিবাজী মিত্রের বাড়ি টপকে পিছন দিকে থাকা একটি পুকুরে ঝাঁপ দেন। সাঁতরে বেড়াতে থাকেন। শিবাজী জানান, উনি ইউক্রেনীয় ভাষায় কথা বলছিলেন। তাই কেউ বুঝতে পারছিলাম না। শিবাজী বলেন, “আমি ইংরেজি ভাষায় কথা বললে উনিও ইংরেজিতে উত্তর দেন। বুঝতে পারি তিনি মুক্তি কেন্দ্রের চিকিৎসায় খুশি নন। তাই পুলিশ ডাকতে বলছেন।”

শিবাজী জানান, এরপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তবে ততক্ষণে একটি ভাঙা কাঁচের টুকরো নিয়ে নিজের গলায় ঘষতে থাকেন। বেশ কিছুটা কেটেও যায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয়রা ওই মুক্তি কেন্দ্রের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। শিবাজী বলেন, “এর আগেও চুঁচুড়া ও ব্যান্ডেলের একাধিক নেশা মুক্তি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছিল। আমার মনে হয়, মুক্তি কেন্দ্রগুলির অন্দরে প্রশাসনের নিয়মিত নজর রাখা উচিত।” চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের দাবি, কে বা কারা, কিভাবে শহরের আনাচে-কানাচে নেশা মুক্তি কেন্দ্র গড়ে তোলেন তিনি জানেন না। তবে, এ বিষয়ে তিনি খোঁজ নেবেন। ওই কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা এ দিন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথাই বলতে চাননি।