এই মুহূর্তে জেলা

বিজেপি প্রার্থীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ আদিবাসীদের।

শান্তিপুর, ১৯ এপ্রিল:- এক আদিবাসী যুবককে মারধরের ঘটনায় এবার তীর ধনু হাতে নিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের। পাশে থাকতে দেখা গেল তৃণমূল নেতৃত্ব দের। এই ঘটনায় সকাল থেকে সরগরম গোটা শান্তিপুর। শুক্রবার বেলা বারোটা থেকে নদীয়ার শান্তিপুর বাবলা সংলগ্ন ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলারা। যদিও তীর ধনুক হাতে নিয়ে অভিনব ভাবে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। বিক্ষোভের কথা শুনে ঘটনাস্থলে আসে একে একে তৃণমূলের নেতৃত্বরা, পাশে থাকতে দেখা গেল শান্তিপুর বিধানসভার বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী কেউ। এছাড়াও বিক্ষোভস্থানে ছুটে আসেন জেলা তৃণমূলের নেতৃত্ব দের। উল্লেখ্য গতকাল শান্তিপুর আরবান্দী ২ নম্বর পঞ্চায়েতের ডঙ্কিরা নিমতলা এলাকায় এক জলাশয় জায়গাকে কেন্দ্র করে

রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে এক আদিবাসী সম্প্রদায়ের পরিবারের বিরুদ্ধে। যদিও জগন্নাথ সরকারের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে ওই আদিবাসী পরিবার। তাদের দাবি জগন্নাথ সরকার ও তার দেহরক্ষীরা সুব্রত মুন্ডাকে পেটে লাথি মেরে জলে ফেলে দেয়, এরপরে গুরুতর আহত হয় সুব্রত মুন্ডা। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শান্তিপুর হাসপাতালে, সেখানেই আশঙ্কা জনক অবস্থায় তিনি চিকিৎসাধীন। গতকাল রাতে হাসপাতালে ছুটে যান নদীয়া দক্ষিণের তৃণমূলের অবজারভার সব্যসাচীর দত্ত, এরপর আহত যুবককের সাথে কথা বলে এবং তাকে আশ্বাস দেন তৃণমূল সবসময় তাদের পাশে আছে। যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বেলা বারোটা নাগাদ জাতীয় সড়ক অবরোধ করে প্রায় এক ঘন্টা অবস্থান বিক্ষোভ করে আদিবাসীরা,

তাদের দাবি অবিলম্বে জগন্নাথ সরকারকে গ্রেফতার করতে হবে না হলে আগামী দিনে তারা আরো বৃহত্তর আন্দোলন করবে। কারণ আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি এই ধরনের অত্যাচার তারা কিছুতেই মেনে নেবেন না। যদিও ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী, এরপর তৃণমূল নেতৃত্ব ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে কথা বলে বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার আর্জি জানান। পরবর্তীতে পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে পথ অবরোধ তুলে নেন আদিবাসীরা। তবে গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত এই ঘটনায় রীতিমত সরগরম গোটা শান্তিপুর, চরছে রাজনৈতিক পারদ।