এই মুহূর্তে জেলা

গরম থেকে বাঁচতে জলজ ফল ও হালকা খাওয়া-দাওয়ায় ভরসা তৃণমূলের কল্যাণের।

হুগলি, ৬ এপ্রিল:- শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী তিনবারের বিদায়ী সংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচার করতে আসেন হুগলির কোন্নগরে। হাতিরকুল লোকনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন সেই প্রচার এসে থামে কোন্নগর শকুন্তলা কালী মন্দির এর কাছে। শকুন্তলা কালী মন্দিরে পুজো দেন বিদায় সংসদ। সেখান থেকে পুজো দিয়ে বেরিয়ে তিনি বলেন অত্যন্ত গরমের মধ্যেও তিনি প্রচার কাজ সারছেন। গরমের মধ্যে কিভাবে সুস্থ থাকছেন কি খাওয়া দাওয়া করছেন সেই বিষয়ে তিনি বলেন, গরমের মধ্যেও ইতিমধ্যেই তার চারটে বিধানসভায় প্রচার করা হয় গিয়েছে। মানুষের কাছে যখন তিনি যাচ্ছেন মানুষের মুখের হাসি দেখেই সব কষ্ট দূর হয়ে যাচ্ছে। গরমের মধ্যে শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ খাওয়া দাওয়া সেই ভাবে কিছু হচ্ছে না। সকাল বেলায় হালকা ব্রেকফাস্ট তার মধ্যে থাকে তরমুজ সেই ধরনের জলজ ফল, দুপুর বেলাতেও হালকা খাওয়া-দাওয়া হচ্ছে, না খেতে পারলেই ভালো হয় তবে শরীর সুস্থ রাখতে খাওয়া দাওয়া প্রয়োজন সেই কারণেই সামান্য খাওয়া দাওয়া হচ্ছে আর যা খাওয়া দাওয়া বাকি রাতে বাড়ি ফিরে।

কিছুদিন আগেই বাম প্রার্থী দীপশীতার বিরুদ্ধে পরিবার তন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন কল্যাণ সেই বিষয়ে তিনি বলেন, পরিবারতন্ত্র নিয়ে তার কোন অসুবিধা নেই। কল্যাণ ব্যানার্জি বক্তব্য ভালো উকিলের ছেলে ভালো উকিল হবে, ভালো জজের ছেলে ভালো জজ হবে। ৫/৬ জেনারেশন ধরে এটাই হয়ে আসছে। বিজেপি অনেক সময় এটা নিয়ে বলে কিন্তু বিজেপিও এটা করে। দীপশীতার পরিবর্তনত্রের ব্যাখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে কল্যাণ ব্যানার্জি বলেন, আমরা পরিবর্তন এর বিরুদ্ধে কোন কথা বলি না, ওরা বলে। সিপিএম যদি পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে বলে তাহলে সিপিআইএম কি ভাবে তিন তিনটে জেনারেশন ধরে নির্বাচনের টিকিট পায়। দাদুও খাবে নাতনিও খাবে এই রকম হয় না কি! উনি বলছেন আমরা ক্ষমতায় ছিলাম না। কিন্তু ক্ষমতায় থাকা না থাকাটা কোনো বিষয় নয় প্রশ্ন হচ্ছে একটা পরিবার থেকে পর পর পর পর পার্টির টিকিট দিচ্ছে কিনা সেটাই। বিভাগীয় তদন্ত নিয়ে রাজ্যপাল শিক্ষা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে নির্দেশ দিয়েছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে কন্যাল বলেন, রাজ্যপালের কোন ক্ষমতাই নেই, রাজ্যপাল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানবেন না। রাজ্য পাল বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্যপাল।