এই মুহূর্তে কলকাতা

রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর কমিশনের।

কলকাতা, ২৯ ফেব্রুয়ারি:- শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট এলাকা নয়, রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর কমিশনের। কমিশন সূত্রে খবর, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরকে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ আসার আগে রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরাতে, সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করতে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির কাছে রাজ্য জুড়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। ময়দানে নেমে মানুষের আস্থা অর্জন করুন এমনই নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে কেবলমাত্র এলাকার টহলদারী থেকে শুরু করে মানুষের আস্থা অর্জন নয়, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে সামগ্রিক পরিস্থিতি সবকিছুকেই একেবারেই স্বাভাবিক করতে হবে। প্রসঙ্গত, ১ মার্চ ও ৭ মার্চ দুই দফায় মোট ১৫০ কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে রাজ্যে। ৩৫ টি পুলিশ জেলায় মোতায়েন করা হবে এই কেন্দ্রীয় বাহিনী। কমিশন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিমুখ এবং রাজ্য প্রশাসনের গতিবিধির ওপর নজর রাখবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ভারতের নির্বাচন কমিশন কলকাতা ও তার আশেপাশের পাঁচটি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৫৮ কোম্পানি মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ১৮টি কোম্পানির সঙ্গে সর্বোচ্চ স্থাপনার অভিজ্ঞতা লাভ করবে। এর মধ্যে বসিরহাট পুলিশ জেলায় পাঁচটি কোম্পানি থাকবে। 

অতিরিক্তভাবে, ব্যারাকপুর পুলিশ জেলায় ছয়টি কোম্পানি, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে চারটি কোম্পানি এবং বারাসত পুলিশ জেলায় তিনটি কোম্পানি মোতায়েন করা হবে। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এই পর্বে সর্বাধিক বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনায়। বারাসত,বনগাঁ, বসিরহাট পুলিশ জেলা এবং ব্যারাকপুর ও বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকা মিলিয়ে ওই জেলায় মোট ২১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। সন্দেশখালির পরিস্থিতি এবং গত লোকসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এরমধ্যে বসিরহাট পুলিশ জেলায় পাঁচ কোম্পানি এবং ব্যারাকপুরে ৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হচ্ছে। কলকাতায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হচ্ছে বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। এছাড়াও হাওড়া লোকসভা এলাকায় ছয় কোম্পানি, হুগলিতে চার কোম্পানী, ডায়মন্ড হারবারে তিন কোম্পানি, পূর্ব মেদিনীপুরে সাত কোম্পানি পশ্চিম মেদিনীপুরে পাঁচ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন করা হচ্ছে। ভোটের আগে মূলত ভোটদাতাদের মন থেকে আশঙ্কা দূর করতে এই বাহিনী মোতায়ন করা হচ্ছে বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। এখন দেখার বিষয় একটাই অন্যান্য বারের মতো রক্তাক্ত পরিবেশের সেই চেনা ছবিই কি ধরা পড়বে নাকি জাতীয় নির্বাচন কমিশন তার নিজের ভূমিকা কে ধরে রাখতে এবার সচেষ্ট হবে।