হুগলি, ২৫ ফেব্রুয়ারি:- রবিবার সকাল দশটা টা থেকে থেকে জগতগুরু শ্রী শ্রী শংকরাচার্য প্রতিষ্ঠিত কোন্নগর রাজরাজেশ্বরী মাতার জন্ম দিবস কথা মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে রাজ রাজেশ্বরী মন্দির ও সেবামঠের পৃষ্ঠপোষকতায় কোন্নগর শ্রী শ্রী রাজরাজেশ্বরী মাতার মন্দির এর তত্ত্বাবধানে বিশাল সমারহে সবজি ও ফলাদি সহকারে দেবী রাজেশ্বরী মাতা কে সুসজ্জিত করানো হয় এবং অভিষেক করার হয় স্ত্রী যন্ত্রে উক্ত দিবসে দেবী রাজেশ্বরী মাতার বিগ্রহ কে মন্দির অভ্যন্তরী সম্মুখ ভাগে বসিয়ে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে দেবীর যন্ত্রের অভিষেক তথা পূজা করা হয়। উক্ত দিবসে হাজার হাজার মহিলা ও পুরুষ কোন্নগর রাজেশ্বরী মাতার মন্দির তথা সেবা মাঠের এই পূজা পাশে অংশগ্রহণ করেন। অবিস্মরণীয় নজর কারে এই পূজা অর্চনার আয়োজন উক্ত দিবসে দেবীকে ১০১ রকমের সবজি যেমন ১০১ কাঁচা ১০১ টি সিম চালকুমড়া, লাউ লঙ্কা বরবটি বেগুন, বিভিন্ন শাকসবজি, পাতিলেবু ইত্যাদি দ্বারা সুসজ্জিত করা হয় যা যথেষ্ট আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। ফল অভিষেকের মাধ্যমে দিবসে দেবীকে সবজি ফুল ও ফল ইত্যাদির মালা বানিয়ে সুসজ্জিত করানো হয় এছাড়া নারকেল, কাজু, কিসমিস, আমন্ড ও আখরোটের মত শুষ্ক ফলের মালাতে সাজানো হয় দেবী মাকে। তিন দিনব্যাপী চলে এই পূর্ণিমা উপলক্ষে রাজরাজেশ্বরী মন্দির তথা মঠের। পাক পড়বে রথযাত্রা থেকে শুরু করে এর ভজন কীর্তন ও ভক্তিগীতি মন্ত্রপাঠ থেকে শুরু করে ২৮শে ফেব্রুয়ারি এই নজরকারা সবজি ও ফলের সমারোগে দেবীর অভিষেক তথা পূজা এবং স্ত্রী যন্ত্রের পূজা জনগণের কাছে এক আকর্ষণীয় উৎসবের সূচনা করে। দূর দুরান্ত থেকে বিন্দু অংশগ্রহণ করে এই পূজা পাঠে এলাকাবাসী উপচে পড়া ভিড় আনন্দ উৎসবে অংশগ্রহণ করা বিশেষ দৃষ্টান্ত রেখেছে। মন্দির তথা সেবা মঠ কর্তৃপক্ষ শান্তিপূর্ণভাবে সুশৃংখলভাবে সুসম্পন্ন করেন এই পূজা পাঠ। শ্রী শ্রী রাজেশ্বরী মাতার এবং জগৎগুরু শ্রী শ্রী শংকরাচার্যের নামে একটি বিশাল রথযাত্রা বের করা হয়েছিল।উক্ত হাজার নারী, পবিত্র পোশাক পরিধান করে স্বপরিবারে অংশ নেন।
এই দিবসে তথা দেবী রাজরাজেশ্বরী মাতাকে ও শ্রী যন্ত্রকে অষ্টধাতু এবং স্বর্ণ ও মনি মুক্তর সাজে সুসজ্জিত করা হয়। মূল সিংহাসনে মাতা রাজেশ্বরী মাতা কে ও শ্রী যন্ত্রকে পূজা হয়। এছাড়া বিগ্রহদের বসানো হয় এবং পবিত্র গহনা ও ওড়না দ্বারা সজ্জিত করা হয়। এই পবিত্র ধর্মীয় অনুভূতিকে মনে প্রাণে বহন করে করে শান্তি ঘটপূর্ন জল নিবেদন করেন হোম যজ্ঞের মাধ্যমে এবং সেখানে প্রণাম করে বিশ্ব শান্তির প্রার্থনা করেন। শুরু হয় পূজা পাঠ দলে দলে ভক্তবৃন্দ উপস্থিত হয় এসে অংশগ্রহণ করে সুশৃংখল ভাবে। এক বিপুল জনস্রোত পরিলক্ষিত হয় এই শোভাযাত্রায়। মন্দিরের সেবায় নিযুক্ত মহিলা গ্রুপ এর পক্ষ থেকে সকলেই নির্দিষ্ট রঙিন পোশাকে ও অলংকারে সুসজ্জিত হয়ে সপরিবারে অংশগ্রহণ করে যোগদান করেন এই পূজাপাঠে।এইভাবেই ধর্মীয় অনুভূতিকে সঙ্গী করে, এর পবিত্রতাকে সাথে করে নিয়ে মন্দির পূজা কমিটির প্রধান পূজা উৎসব সুসম্পন্ন হয়। বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাধ্য সুশৃংখলতা শুরু থেকেই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। তিন দিন ব্যাপী চলে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান। কোন্নগর রাজেশ্বরী মাতার ভক্তগণ এবং সৎচিত স্বরূপ ও শ্রীধর ত্রিবেদী মহারাজদের তত্ত্বাবধানে সকল ব্রহ্মচারী মহারাজ সহ তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। মন্দিরের মূল প্রধান মহারাজ সবচেয়ে সড়ক এবং শ্রীধর ত্রিবেদী বলেন এই বিশেষ পুজো সহকারে এবং পুষ্পে ও ফল-ফলাদি এবং সবজি সহকারে সুসজ্জিত দেবী মাকে পূজা পাঠ জড়া ব্যাধি এবং অভাব অনটন অশান্তি কে নাশ করার প্রার্থনা।
এই পবিত্র মাঘী পূর্ণিমা উপলক্ষে পবিত্রতা সহকারে করা হলো যাতে সকল আঁধার বুঝে যাবে প্রার্থনা ও পূজার মাধ্যমে ব্রহ্মচারী মহারাজ শ্রীধর ত্রিবেদী, ঋত্বিক মিশ্রা, সৌরভ মিশ্রা, রবি চৌবে, অবিরাম ঝা, শ্রী বিনয় মান সিংহ এই রথ যাত্রার আয়োজনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে মন্দিরে গর্ভ গৃহেতে জ্বালানো হয় ১১০০ টি প্রদীপ ছিল দুপুরে সকল যোগদানকারীদের জন্য আহারের ব্যবস্থা এবং পানীয় ব্যবস্থা পুলিশী প্রশাসন এবং পরিষেবা ছিল অব্যাহত মাতা লক্ষীছাড়া এই জগত সংসার শ্রীহীন তারই আঁধার রুপিনী দেব ও দেবী মাতার যুগ্ম অবস্থান যা সৃষ্টির উৎস। যা ছাড়া জগত সংসার শক্তিহীন অভুক্ত। তাই মহালক্ষী মাতা রাজেশ্বরী মন্দির ও সেবা মোট কর্তৃক পবিত্র এই তিথিতে এক অপূর্ব পবিত্র ধর্মীয় অনুভূতির এবং বিশ্বশান্তি প্রার্থনার দেশে আগামী দিনেও সময় পালিত হবে। উৎসব জগৎ সংসারের কল্যাণ কামনা করে। ধর্মের রক্ষা ধর্ম প্রচার অতীতে তিনি এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছেন। এই উৎসব উপলক্ষে এক বিপুল ফল সবজি বস্ত্র ও অলংকারের এবং মিষ্টি মিষ্টান্ন ভান্ডারা দেওয়া হয় এবং যথেষ্ট শান্তি ও সুশৃংখলভাবে গরিব-দুঃখীদের সামগ্রী দান থেকে আরম্ভ করে আর ফলমিষ্টি বিতরণ এবং বসে খাওয়ানো হয়। বিশ্ব শান্তি তথা জনগণের কল্যাণ হেতু মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবসের এই সুসজ্জিত বিশেষ ফল ও সবজি সহকারে পূজা, যে দিন দেবী রাজেশ্বরী মাতা স্বয়ং শাকম্বরী রূপ ধারণ করেন এবং পৃথিবী থেকে খাদ্য সংকট তথা অভাব দূর করতে স্বয়ং তিনি মর্তধামে জাগ্রত রূপে অধিষ্ঠান করেন ।আগেও হয়েছে যেদিন দেবী ফল এবং সবজির অলংকারে অলংকৃত হন এবংএই উৎসব অব্যাহত আছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে।