এই মুহূর্তে জেলা

আধারের আঁধার কাটাতে সচেতনতা শিবির হুগলিতে।

হুগলি, ২৩ ফেব্রুয়ারি:- আধার নিষ্ক্রিয় করার চিঠি এন আর সি’র সূচনা মনে করে শিবির করে মানুষকে সচেতন করতে শুরু করল তৃনমূল। দামাল বাঙলার হুগলি শাখার পক্ষ থেকে মগড়া কাটাপুকুরে হয় এই শিবির। উপস্থিত ছিলেন, চাঁপদানীর বিধায়ক তৃনমূল হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার, বলাগড় বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী, হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য মানস মজুমদার, মৌসুমি ঘোষ সহ তৃনমূল নেতৃত্ব এবং পূর্ববঙ্গ থেকে আসা, মতুয়া সম্প্রদায় মানুষজন। সম্প্রতি আধার নিষ্ক্রিয় করা হল এই মর্মে অনেক মানুষের কাছে চিঠি আসে। হুগলির মগড়া, কোদালিয়া বলাগড়ে অনেকে এই চিঠি পেয়েছেন। দামাল বাঙলা একটি এন আর সি বিরোধী মঞ্চ তার প্রতিষ্ঠাতা মানিক ফকির এন আর সি হলে মানুষের বিশেষত ওপার বাংলা থেকে আসা মানুষদের কি অসুবিধা হবে সে বিষয়ে সচেতন করেন। শিবিরের আহ্বায়ক মানস মজুমদার বলেন, বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকার চাইছে এনআরসি করে মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে।

দেশভাগের বলি হয়ে পূর্ববঙ্গ থেকে যারা পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন ৩০ বছর থেকে ৬০ বছর বসবাস করছেন তাদের বিপদে ফেলতে চাইছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন সংবিধানের ৬ এর এ ধারায় বাবা সাহেব আম্বেদকার যে অধিকার দিয়েছেন সেটা হল অখন্ড ভারতবর্ষের ভূমিপুত্ররা খন্ডিত ভারতের নাগরিক। তৃনমূল বলছে যারা দেশ ভাগের বলি হয়ে এদেশে এসেছে। যাদের আধার কার্ড ভোটার কার্ড রেশন কার্ড আছে। যাদের ভোটে নির্বাচন হয় তারা সকলেই দেশের নাগরিক। আমরা মনে করছি লোকসভা ভোটের পরে এনআরসি করে মানুষের এই অধিকার কেড়ে নেবে বিজেপি। তাই আন্দোলনে একমাত্র রাস্তা। আমরা মানুষকে সচেতন করছি। বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন বলেন,আমরা ভারতবর্ষের নাগরিক। তাই শহর নাগরিকদের সচেতন করতে চাই।এনআরসি কি সিএএ কি তা এই শিবিরের মাধ্যমে বোঝানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যারা সরকারি সুযোগ সুবিধা পান তারা প্রত্যেকেই নাগরিক।আগামী দিনে যারা বঞ্চিত হতে পারে তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব।