এই মুহূর্তে জেলা

মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য প্রায় বাতিল হওয়া ত্রিবেনী কুম্ভমেলা হচ্ছে কাটছাঁট করে।


হুগলি, ১০ ফেব্রুয়ারি:- এদিন ত্রিবেনী কুম্ভমেলা পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে ত্রিবেনী সপ্তর্ষি ঘাট পরিদর্শন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায়, অশোক গাঙ্গুলী, স্বামী উত্তমানন্দ গিরি সহ সাধু সন্তরা। স্থানীয় ইতিহাসবিদ অশোক গাঙ্গুলী বলেন, কানাডিয়ান লেখক এলান মরিনিসের একটি বই থেকে ত্রিবেনী কুম্ভের কথা জানা যায়। এছাড়াও পুরানে ত্রিবেনীর নাম পাওয়া গেছে। সপ্তগ্রাম বানিজ্য বন্দর থাকা কালীন এই স্থানের জনপ্রিয়তা বাড়ে। যদিও পরবর্তী কালে বিদেশী আক্রমনে এর মাহাত্ম্য কমে যায়।

কিন্তু মাঘ সংক্রান্তিতে বহু মানুষ ত্রিবেনীতে স্নান করেন। সেই সূত্র ধরে ত্রিবেনী অনু কুম্ভের জন্ম হয়েছে। মেলা কমিটির চিপ পেট্রন কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এখানে শুধু কুম্ভ মেলাই নয় আগামী দিনে ত্রিবেনীকে হেরিটেজ ঘোষনার জন্য আবেদন জানিয়েছি। যাতে বাঁশবেড়িয়া থেকে ত্রিবেনীর সাত কিমি এলাকার মধ্যে ২৪ ঘাট আছে। সেই ঘাট গুলোর সংস্কার ব্রীজ, মিউজিয়াম তৈরী করে উজ্জয়িনী নগরীর মডেলে ধর্ম নগরী তৈরী করুক কেন্দ্র সরকার। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারী দ্বিতীয়ার্ধে মেলায় ভীর জমাবে সাধু সন্তরা। নাগা সাধু থেকে দেশ বিদেশের সাধুরা উপস্থিত থাকবেন। হোম কুন্ডে যজ্ঞ এবং ধর্ম সম্মেলন হবে। পরদিন নগর কীর্তনের পর হবে শাহী স্নান। ভান্ডারা দেওয়া হবে সাধুসন্তদের।