এই মুহূর্তে জেলা

জমি মাফিয়াদের দাপটে ঘুম উড়েছে কানাইপুর এলাকার মানুষের।

হুগলি, ৭ ফেব্রুয়ারি:- জমি মাফিয়াদের দাপটে ঘুম উড়েছে হুগলি জেলার কানাইপুর পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের।দিন কয়েক আগেই কানাইপুর বিশালক্ষী মন্দিরের সামনে জলা জমি ভরাট করার কাজ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পায়। আর সেই খবরের জেরেই এবার ওই জমি নিয়েই উঠলো ভয়ংকর অভিযোগ। আসল জমির মালিক জানতেনই না যে তার জমি অন্য কেউ বিক্রি করে দিয়েছে তার অজান্তেই। সংবাদমাধ্যমে জলা জমি ভরাটের খবর দেখেই জমির আসল মালিক অমল চট্টোপাধ্যায় জানতে পারেন তার জমি তার অজান্তেই কেউ কিনে সেখানে কাজ করছেন। এরপরেই তিনি জমির সমস্ত কাগজ নিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন তার সই ও আধার কার্ড জাল করে তার জমি বিক্রি করে দিয়েছে জমি মাফিয়ারা। এদিন তিনি জানতে পেরেই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে দায়ের করেন। এই বিষয়ে জমির মালিক অমল চট্টোপাধ্যায় বলেন, তিনি এই জমির আসল মালিক তার কাছে সমস্ত জমির কাগজ রয়েছে। আর দিন কয়েক আগেই তিনি সংবাদ মাধ্যমে দেখতে পান তার জমিতে কোনো ব্যাক্তি কনস্ট্রাকশন করছে। এরপরেই তিনি সরাসরি জমির কাগজপত্র নিয়ে সার্চিং করে জানতে পারেন সন্ধ্যা রানী দাস বলে কেউ তার সই ও আধার কার্ড জাল করে তার থেকে নাকি জমি কিনেছেন।

কিন্তু আদতে তিনি তার জমি বিক্রিই করেননি। এরপরেই তিনি তড়িঘড়ি কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি আরো বলেন কানাইপুর এলাকায় এরকম জমি নিয়ে অনেকের সমস্যা হচ্ছে বলে শুনতে পারছি কারো জমি অন্য কেউ জালিয়াতি করে বিক্রি করে দিচ্ছে। এই বিষয়ে নিশ্চই কোনো বড় চক্র রয়েছে প্রশাসনের কাছে আবেদন এই বিষয়টি জোর দিয়ে দেখা উচিৎ।তিনি আজ পুলিশে লিখিত অভিযোগ করলেন এবার তিনি সমস্ত সরকারি দফতরে লিখিত জানাবেন ও কোর্টের দ্বারস্থ হবেন। এই বিষয়ে কানাইপুর পঞ্চায়েত এর কেউ কোনো বক্তব্য দিতে না চাইলেও মুখ খুলেছেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান তথা তৃণমূলের জেলা সম্পাদক আচ্ছেলাল যাদব, এই বিষয়ে তিনি বলেন তিনি যখন প্রধান ছিলেন সেই সময়ে কিছু জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে এই কাজ তিনি বন্ধ করিয়েছিলেন। কিন্তু এখন সেটা আবার মাথাচাড়া দিয়েছে।

আর কেউ কেউ নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এই বিষয়কে মদত করছে।আর এই জমি বিক্রির বিষয়ে জার নাম উঠে আসছে সেই সন্ধ্যা রানী দাস আসলে আর কেউ নয় কানাইপুর এলাকার একসময়ের কুখ্যাত দুষ্কৃতী ভোলানাথ দাস ওরফে বাঘা এর স্ত্রী। তৃণমূল সরকার আসার পর দুষ্কৃতী দৌরাত্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু এখন কেনো এটা আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে সেটা ভাবনার বিষয়। আর এখন যিনি জমি কিনে কাজ করছেন তিনি আগের দিন যে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন সেটা যেই ঘুষ নিয়ে এই দুর্নীতি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া উচিৎ। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য পঙ্কজ রায় বলেন, কানাইপুর পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে আছে তাহলে তারা সমস্তটা জেনেই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সারা রাজ্যে দুর্নীতি চলছে আর কানাইপুর তার বাইরে নয়। তৃণমূলের মদতেই জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম বাড়ছে এলাকায়। আর কানাইপুর এর এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়, এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ তাহলে কি এখন কানাইপুর এলাকায় নিজের জমি আর সুরক্ষিত নয়। কিভাবে জমির মালিকের সই আধার কার্ড জাল করে জমি বিক্রি করছে জমি মাফিয়ারা। প্রশাসনের উচিৎ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা।