এই মুহূর্তে কলকাতা

আসন্ন রাজ্য বাজেটেই ১০০ দিনের শ্রমিকদের অর্থের সংস্থান করছে রাজ্য।


কলকাতা, ৪ ফেব্রুয়ারি:- মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মত একশ দিনের কাজের শ্রমিকদের মজুরির যোগান দিতে আসন্ন রাজ্য বাজেটেই অর্থের সংস্থান করছে রাজ্য সরকার। পাশপাশি আবাস প্রকল্পের বঞ্চিতদের মাথার ছাদের ব্যবস্থা করারও সংস্থান থাকছে বাজেটে। কেন্দ্রের থেকে বাংলার প্রাপ্য ১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তার মধ্যে যেমন ১০০ দিনের মজুরির টাকা আছে তেমনি আছে আবাস যোজনার টাকাও। আছে ১০০ দিনের কাজের উপাদান বাবদ বকেয়া তেমনি আছে প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনার টাকাও। বাকি আছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের টাকা। বকেয়ার তালিকায় আছে মিড ডে মিলের টাকাও। এই সব টাকা চেয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা একাধিকবার দাবি চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রকে ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। এমনকি দিল্লিতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে এই নিয়ে বৈঠকও করেছেন মমতা। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি।

বাংলার মানুষ তাঁদের হকের টাকা পাননি। এই অবস্থায় গতকালই কলকাতার রেড রোডের ধর্নামঞ্চ থেকেই মমতা ঘোষণা করে দিয়েছেন, ১০০ দিনের কাজ করা বাংলার ২১ লক্ষ শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রাপ্য টাকা ২১ ফেব্রুয়ারি পৌঁছে দেবে তাঁর সরকার। সেই সূত্রেই জানা গিয়েছে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের যে বাজেট পেশ হতে চলেছে সেখানেই এই ১০০ দিনের কাজের মজুরি বাবদ টাকার সংস্থান থাকছে। ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের থেকে বাংলার বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে মজুরি বাবদ বকেয়ার পরিমাণ ৩৭৩২ কোটি টাকা। আর উপাদান বাবদ বকেয়া ৩১৮১ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট বকেয়ার পরিমাণ ৬৯১৩ কোটি। মজুরির টাকা সরাসরি মজুরদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকার কথা।

উপাদানের টাকা ঢোকার কথা গ্রাম পঞ্চয়াতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। মুখ্যমন্ত্রী শুধুমাত্র মজুরুর টাকা মজুরদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠাবার কথা বলেছেন। সেই টাকা রাজ্য বাজেটের মধ্যে রাখা থাকছে। ২১ লক্ষ মজুর ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সেই টাকা তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পেয়ে যাবেন। কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি এখনই উপাদানের টাকা পাবেন না। আবার আবাসের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত থাকলেও বাড়ি পাননি ১১ লক্ষ বাংলার মানুষ। তাঁদের ক্ষেত্রে বকেয়ার মোট পরিমাণ ৬৬০০ কোটিরও বেশি। এই টাকাও রাজ্যের তরফে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে এক দফাতেই তা দেওয়া হবে না। কয়েক কিস্তিতে তা মেটানো হবে। আগামী ৮ তারিখের রাজ্য বাজেটেই প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হবে।