এই মুহূর্তে জেলা

ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ হুগলির শতায়ু বৃদ্ধার।


হুগলি, ২৫ জানুয়ারি:- চুঁচুড়া পুরসভার কপিডাঙা এলাকার শতায়ু বৃদ্ধা প্রিয়াবালা কুন্ডু ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে শেষ বার ভোট দিয়েছিলেন। তারপর আর ভোট দিতে পারেননি ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ায়।এপিক রয়েছে তার কিন্তু ভোট দিতে পারেন না। আগামী লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিতে চান অশীতিপর বৃদ্ধা। আজ জাতীয় ভোটার দিবস। প্রাপ্ত বয়স্ক সবার যাতে ভোটার তালিকায় নাম থাকে এবং দেশের নির্বাচনে যাতে সবাই অংশ নিতে পারেন তারজন্য প্রচার নানা কর্মসূচী চলছে। হুগলি জেলায় শেষ যে সংশোধিত ভোটার তালিকা পাওয়া গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে ৪৭,৬২,৬৮৯ জন ভোটার।পুরুষ ভোটার ২৩,৯৩,৫৪৩ জন মহিলা ২৩,৬৯,০৩৪ জন। তৃতীয় লিঙ্গ ১১২ জন। সরকারি চাকরি করে এমন ভোটার ৪৯১৬ জন। নতুন ভোটার ১৯,১০১ জন। একশ শতাংশ ভোটারের এপিক কার্ড আছে।ভোটার তালিকা সংশোধন কাজে সাফল্যের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে পুরষ্কৃত হয়েছে হুগলি জেলা। সেই সময় একজন শতায়ুর ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ায় হতবাক তার পরিবার।

বৃদ্ধা প্রিয়বালা কুন্ডু ভোট দিতে চান তবে তালিকায় নাম উঠবে কি করে তা জানেন না। বৃদ্ধার নাতি সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, ঠাকুমার বয়স একশ পেরিয়েছে। এখন কিছুটা জড়োসড়ো হয়ে গেছে। তবে এখনো কানে শুনতে পান, চোখে দেখেন, ঝুঁকে হলেও হাঁটাচলা করতে পারেন। আমরাই দেখাশোনা করি। হঠাৎ করে দেখি ঠাকুমার নাম বাদ পরে গেছে ভোটের তালিকা থেকে। কি করে হল জানিনা।যারা ভোটার তালিকার কাজ করেন তাদের বলেছিলাম কিছু হয়নি। ঠাকুমা এখনো ভোট দিতে চান কিন্তু তালিকায় নামই নেই কি করে দেবেন। বৃদ্ধার বড় বৌমা বলেন, হরিদাসী কুন্ডু বলেন, শ্বাশুড়ির রেশন কার্ড থাকলেও রেশন বন্ধ হয়ে গেছে যেমন ভাবে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পরেছে। সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা বলেন, ওনার একশোর বেশি বয়স জানতে পারলাম। এক সময় ভোটার তালিকায় নাম ছিল। ওনার বাড়িতে টিম পাঠিয়ে তথ্য যাচাই করে নিয়ে যা করার করব।