হুগলি, ১৩ জানুয়ারি:- পাতে মাংস পরা নিয়ে বিবাদের জেরে পিটিয়ে খুন,ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। শীতের রাতে পিকনিক। বিকেল থেকেই সকলে আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু বিপদটা হলো রাতে। খেতে বসে। কার পাতে কতটা মাংস পড়েছে সেই সেই নিয়ে বচসায় একজনকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরশুড়ার নিমডিঙি। পুলিশ এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সঞ্জয় ভক্ত (৪৪)। সঞ্জয় নিমডিঙিতেই থাকেন। অভিযুক্ত বাবুরাম সর্দারকে গ্রেপ্তার করেছে পুরশুড়া থানা। ঘটনার জেরে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। জানা গিয়েছে, দু’জনেই জনমজুর। পাশাপাশি মাইকম্যানের কাজ করতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরশুড়ার নিমডিঙিতে এলাকার কিছু যুবক পিকনিকের প্ল্যান করে। সেই মতো সন্ধের পর থেকে রান্নাবান্না শুরু হয়। দেদার হাসি-মজা চলছিল। সঙ্গে ছিল মদ। রাতের দিকে খেতে বসে গন্ডগোলের সূত্রপাত বলে জানা গিয়েছে। ঝগড়টা লাগে মূলত সঞ্জয়ের সঙ্গে বাবুরামের। কার পাতে বেশি মাংস পড়েছে সেই নিয়ে ঝগড়া। ঝগড়া এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে দু’জনেই খাওয়া ছেড়ে উঠে পড়েন।
অভিযোগ, বাবুরাম প্রথমে সঞ্জয়কে মারধর শুরু করে। পাল্টা প্রতিরোধ করেন সঞ্জয়। এই হাতাহাতির মধ্যেই একটি লাঠি নিয়ে আচমকা সঞ্জয়কে বেধড়ক মারতে শুরু করে বাবুরাম। মারের চোটে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সঞ্জয়। আর দেরি করেনি বাবুরাম। সে দ্রুত এলাকা ছেড়ে পালায়। রক্তাক্ত সঞ্জয়কে ফেলে রেখে পালান বাকিরাও। সকালে এলাকার বাসিন্দারা সঞ্জয়ের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। তড়িঘড়ি পুলিশ এসে সঞ্জয়ের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ বাবুরামদের নাম পায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, পুলিশের জেরায় বাবুরাম স্বীকার করেছে, সেই সঞ্জয়কে রাগের মাথায় পিটিয়ে খুন করেছে। ধৃত বাবুরাম সর্দার আদতে বাঁকুড়ার বাসিন্দা। পুরশুড়ার নিমডিঙিতে কাজের সূত্রে আসত। আর সঞ্জয়ের বাড়ি নিমডিঙিতেই। তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। সঞ্জয়ের এক ছেলে। তিনি ভিন রাজ্যে থাকেন। মেয়েও আছে একটি। তাঁর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। সঞ্জয়ের এখ আত্মীয় উজ্জ্বল রায় বলেন, ‘এ ভাবে সঞ্জয় খুন হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানায় এলাকার বাসিন্দারা।