কলকাতা, ৪ জানুয়ারি:- পুনের এক সংস্থাকে হারিয়ে বছরের শুরুতেই সুন্দরবনের মধু-র ভৌগলিক পরিচয় জ্ঞাপক জিআই স্বত্ব পেল এরাজ্য। একই সঙ্গে বাংলার আরও চারটি শিল্পকে জিআই স্বত্ব দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। গরদ, করিয়াল, টাঙ্গাইল শাড়ি ও উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির সুগন্ধি কালোনুনিয়া চাল সেই তালিকায় রয়েছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের জিআই পোর্টালে এই সংক্রান্ত তথ্য তুলে দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজ্যকে এই মর্মে চিঠি দেওয়া হবে। বলে জানা গিয়েছে,সুন্দরবনের মধু-র জিআই স্বত্ব-র জন্য পুনের একটি সংস্থা আবেদন করে ওই প্রাকৃতিক মধুর একচেটিয়া ব্যবসা করতে চেয়েছিল।
পাল্টা রাজ্যের জন্য ওই তকমা দাবি করে বনদফতরের আওতাধীন পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগম। সমস্ত প্রমাণ পত্র খতিয়ে দেখার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাজ্যের দাবিকেই স্বীকৃতি দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের তত্ত্বাবধানে সুন্দরবনের মউলিরা মধু সংগ্রহ করেন। পরে নিগম তা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বাজারে ‘মৌবন’ ব্র্যান্ডের আওতায় বিক্রি করে। এদিকে জিআই স্বত্ব পাওয়া নানা পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির কালোনুনিয়া চালকে ‘প্রিন্স অফ রাইস’ বলা হয়। কারিয়াল শাড়ি তৈরি হয় শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদের মির্জাপুরে, যা বিশ্ব বিখ্যাত। এরাজ্যের টাঙ্গাইল ও গরদ শাড়িরও সারা দেশে সুনাম রয়েছে।