হুগলি ,২৩ ডিসেম্বর:- নভেম্বরের মজুরি মেলেনি হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার গাড়িচালকদের। শনিবার সকাল থেকে তাই ধর্মঘটের ডাক দেয় পুরসভার অ্যাম্বুলেন্স, সাফাই গাড়ি, জলের গাড়ি প্রভৃতি সমস্ত রকমের গাড়ি চালকেরা। সবমিলিয়ে প্রায় ৪০ জন গাড়ি চালক রয়েছেন। সকলেই অস্থায়ী। সকালে চালকদের বোঝাতে চুঁচুড়ার কারবালা মোড়ের গ্যারাজে যান পুর-পারিষদ (স্বাস্থ্য) জয়দেব অধিকারী। বেশকিছুক্ষণ কথা বলার পরে চালকদের সিদ্ধান্ত বদলাতে অপারগ হন জয়দেব। তিনি বলেন, “পুরসভার ভাঁড়ারের অবস্থা ভাল নয়। তাই মজুরি দিতে দেরী হচ্ছে।
চালকদের সিদ্ধান্ত অনৈতিক নয়। পুরপ্রধানের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” এই ঘটনার ঘণ্টা দু’য়েক পরেই পুরপ্রধান অমিত রায় সাংবাদিকদের জানান, মজুরি দেওয়া হয়ে গিয়েছে। তাঁর বক্তব্য, গাড়ি চালকদের মজুরি দেওয়া হয়েছে। এরপরেও যদি কাজ না করে তাহলে মজুরি কাটা যাবে। প্রয়োজনে অন্য লোককে দিয়ে কাজ করানো হবে। গোটা ঘটনা শুনে হুগলি লোকসভার বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, গোটা রাজ্যের সাথে এই পুরসভা দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। এখানকার প্রতিনিধিরা পকেট ভরছেন। আর অস্থায়ী কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না। মজুরি না দিলেও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল পৌরপ্রধানের, লকেটের দাবি সব দুর্নীতিবাজ।