এই মুহূর্তে জেলা

দু বছরেও হয়নি, এবার একদিনের মধ্যেই জল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বিধায়কের।

হুগলি, ৯ ডিসেম্বর:- দু বছরে হয়নি প্রতিশ্রুতি পালন, এবার একদিনের মধ্যে জল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বিধায়কের। রেলের জায়গায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জল দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন খোদ কাউন্সিলরের। হুগলি চুঁচুড়া পুরসভা ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল পানীয় জল, নিকাশি, শৌচালয় করে দেওয়ার। ভোটের পর সেসব প্রতিশ্রুতি পালন হয়নি। বারবার স্থানীয় কাউন্সিলর পুরসভাকে জানালেও কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে বিক্ষোভ পথ অবরোধে নামছেন চুঁচুড়া পাঙ্খাটুলির রেল ব্রীজের নীচে বসবাসকারী মানুষ জন। সামনে লোকসভা ভোট মানুষের ক্ষোভ আঁচ করে বাসিন্দাদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলে একিদনের মধ্যে জল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের সিআইসি জয়দেব অধিকারীর দাবী রেলের জায়গায় জলের লাইন দেওয়ায় সমস্যা আছে। টেন্ডারের আগে জায়গা কার তা দেখাতে হয়। রেলের থেকে নো অবজেকশান না পেলে বেআইনি কাজ করা যাবে না। হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের পাঙ্খাটুলি এলাকায় ব্যান্ডেল নৈহাটি রেল লাইনের খিলানের তলায় বসবাস করে কয়েকশ পরিবার।তারা পুরসভার ভোটার। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার ভোটের আগে বর্তমান কাউন্সিলর নির্মল চক্রবর্তী সহ তৃনমূল নেতৃত্ব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এলাকার প্রতিটা বাড়িতে পানীয় জল দেওয়া হবে।

নিকাশি এবং শৌচালয় করে দেওয়া হবে। নির্বাচনের পর প্রায় দু বছর হতে চলল এখনো কিছুই হয়নি।রাস্তার ধারে পুরসভার কল থেকে জল আনতে হয়, কাঁচা শৌচালয়ে লজ্জা নিবারন করা দুঃসাধ্য হয়ে পরে, নিকাশি বলে কিছু নেই। এমতাবস্থায় স্থানীয় কাউন্সিলরকে পুরসভায় বাসিন্দারা আবেদন করেও কোনো ফল হয়নি। তাই তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরী হয়। গতকাল তারা পথ অবরোধ করেন। ক্ষোভের আঁচ পেয়ে আজ বিধায়ক ওই এলাকায় গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রতিশ্রুতি দেন কাল বিকালের মধ্যে পানীয় জলের লাইন বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। অসিত বলেন, এরা খুবই গরীব মানুষ।পুর পরিষেবা থেকে কেউ বঞ্চিত থাকবে না। জল কালকে দেওয়া হল কিনা তা দেখতে আসব আবার। নিকাশি শৌচালয় যাতে হয় তানিয়ে কথা বলব। সিআইসি জয়দেব বলেন, রেলের জায়গায় জলের লাইন দেওয়া যাবে কিনা তা দেখতে হবে। ওটা পুরসভার জায়গা নয়। কাউন্সিলের ভুল হয়েছে বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা না করা। বিজেপির সুরেশ সাউ বলেন, ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি ঝুলি নিয়ে এসেছিল এখন আর কাউন্সিলর কে খুঁজে পাওয়া যায় না।ওই এলাকায় গেলে এখন ক্ষোভের মুখে পড়বে। এখন ডেমেজ কন্ট্রোলে বিধায় পৌঁছে গেছেন। উনি আবার লোকসভা ভোটে প্রার্থী হবেন তাই নতুন করে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এসব কিছুই হবে না।