এই মুহূর্তে জেলা

সুড়ঙ্গে শ্রমিকদের উদ্ধারকার্যে উঠে এলো সিঙ্গুরের বঙ্গ-সন্তানের কৃতিত্ব।


হুগলি, ৩০ নভেম্বর:- ১৭দিনের একটানা দীর্ঘ অপেক্ষার পরে অবশেষে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হয়।উদ্ধার করা হয় উত্তরকাশি সুড়ঙ্গে আটকে থাকা যুকবদের। দেশের প্রত্যেকটা মানুষ তাকিয়েছিল উদ্ধারকারী দলের দিকে। আর উদ্ধারের পর সেই উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের জন্য শুভেচ্ছার বন্যা সারা দেশ জুড়ে। আর এই উদ্ধারকাজের কৃতিত্বে উঠে এলো জমি আন্দোলনের কেন্দ্র বিন্দুতে থাকা সিঙ্গুরের নাম, আবারও গর্বিত হলো বাংলা। সবার আশার আলো দেখলো যে ছেলেটির হাত ধরে, তিনি সেই সিঙ্গুরের কিসমৎ অপূর্বপুরের, সিঙ্গুর ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের দৌদ্বীপ খাঁড়া। সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে ধস নামার পরে পৌঁছেছিলো এন্ডোস্কোপিক ক্যামেরা যে ক্যামেরার সাহায্যে পেটের ভিতর কোনো রোগকে নির্ণয় করা হয়। খানিকটা সেই পদ্ধতিতেই ওই ক্যামেরার সাহায্যেই প্রথমবার বাড়ির লোকেরা আটকে পড়া শ্রমিকদের কয়েকজনকে দেখে আশ্বস্ত হন।

যে ভিতরে সকলে সুস্থ আছে।আর প্রথম সুড়ঙ্গে ওই ধসের মধ্য দিয়ে সেই ক্যামেরা পাঠানোর পিছনে রয়েছেন এক বেসরকারি পরিকাঠামো নির্মাণ সংস্থার কর্মী সিঙ্গুরের ছেলে দৌদ্বিপ। হুগলি জেলার টিপিআই কলেজে পড়াশোনা সেরে এখন কলকাতা বেসরকারি একটি কলেজে নিজের পড়াশোনা চালাচ্ছে দৌদ্বিপ। বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত দৌদ্বীপ খাঁড়ার পরিবারে এবং সিঙ্গুরে এখন খুশির উৎসব। দৌদ্বীপ এর মা সবিতা খাঁড়া বলেন, আমার গর্বে বুক ফুলে উঠছে, খাওয়াদাওয়া করতে পারছি না এত আনন্দ। ভাবতেই পারছি না, যে ছেলে এমন একটা পজিশনে চলে গেছে। টিভিতে জখম প্রথম এই উদ্ধারকাজে ছেলের অবদানের কথা দেখতে ও জানতে পারি তখন ওর বাবার আর আমার খুব আনন্দ হয়।সেই আনন্দ বলে বোঝানোর নয়।

সিঙ্গুরের বিডিও বাড়িতে খোঁজ নিয়েছেন, ভূয়সী প্রশংসাও করেন। দৌদ্বীপ এর মা এও জানালেন, শুক্রবার বাড়ি ফিরবে ছেলে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডেকেছেন দৌদ্বীপ কে। বাড়ির সকলে অত্যন্ত আনন্দিত। দৌদীপ এর বাবা বলেন, সত্যি ছেলে দেশের জন্য যে কাজ করেছে সেটা ভেবেই গর্ব হচ্ছে। এতজন শ্রমিকের বাড়ির লোক আমাদের ছেলের পাঠানো ক্যামেরার মাধ্যমে সকলের পরিবার তাদের ছেলেদের দেখে আশ্বস্ত হতে পেরেছে সকলের মুখে হাসি ফুটিয়েছে দৌদিপ। এর থেকে আনন্দের আর কি হতে পারে। প্রফেসর সৌমেন্দ্রনাথ বসু বলেন, টিপিআই কলেজে আমার ছাত্র ছিলো দৌদ্বীপ, আমার সাবজেক্ট স্ট্রেন্থ অফ্ মেটেরিয়াল ওর পরবর্তীতে প্রিয় সাবজেক্ট হয়, ওর এই সাফল্যে অত্যন্ত গর্ব অনুভব করছি। আরও উন্মতি করুক। টিপিআই কলেজের প্রিন্সিপাল অভিজিৎ কর্মকার বলেন সার্ভে ইজ্ঞিনিয়ারিং নিয়ে ২০১৫ সালে পাস আউট দৌদ্বীপ ভবিষ্যতে আরও অনেক উন্নতি করুক, আমাদের ছাত্র এখন দেশের সকলের গর্ব।