কলকাতা, ৩০ নভেম্বর:- এবার জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে৷ বুধবার ধর্মতলায় বিজেপির প্রতিবাদ সভা হচ্ছিল৷ সেই সময় বিধানসভায় ধরনায় বসেন তৃণমূল বিধায়করা৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়৷ এই ধরনার শেষ পর্যায়ে জাতীয় সঙ্গীত গাইবার নির্দেশ দেন নেত্রী৷ তাঁর নির্দেশ মেনে তৃণমূলের বিধায়করা জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন৷ সেই সময় বিরোধী দলের বিধায়করা জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীনই ‘চোর চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন৷ এই অভিযোগ করেছে তৃণমূল৷ আর তাতেই জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা হয়েছে বলে অভিযোগ শাসকদলের৷ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, “জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা একটি নির্দিষ্ট ধারায় বিচার হয়৷ সেই ধারার সেকশন থ্রি-র আওতায় এক্ষেত্রে অবমাননা হয়েছে৷ আইনের সব কিছু যেহেতু খতিয়ে দেখা হয়নি, তাই বিষয়টি নিয়ে এখনই বলছি না৷ তবে অধ্যক্ষের কাছে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননাকে সামনে রেখেই আমরা অভিযোগ করেছি ৷”
এদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ করা হয়, বেনজিরভাবে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা চত্বরে তৃণমূল বিধায়কদের উপর আক্রমণ করেছে৷ শুধু তাই নয়, বিধানসভা চত্বরে ওই বিক্ষোভ চলাকালীন তৃণমূল বিধায়করা যখন জাতীয় সঙ্গীত গাইছিলেন, তখন বিজেপি বিধায়করা অবমাননা করেছেন৷ অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তৃণমূলের আনা অভিযোগ তিনি গ্রহণ করেছেন৷ এর তদন্ত হবে ৷ তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরবর্তী কড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে৷29 নভেম্বরের এই ঘটনাকে অত্যন্ত নজিরবিহীন বলছেন পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, “বিজেপির কারণে এদিনের পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল যে, অধ্যক্ষকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ডিসি সেন্ট্রাল ও স্থানীয় হেয়ার স্ট্রিট থানায় জানাতে হয়৷ পুলিশের আধিকারিকরা বিধানসভায় প্রবেশ করার অনুমতি দিতে হয়৷ লালবাজার থেকে স্পেশাল ফোর্স এসে দুই রাজনৈতিক দলের মাঝে ব্যারিকেড করে দাঁড়ায় ৷ আর এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তাই দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত অধ্যক্ষের ৷”