হুগলি, ১৭ নভেম্বর:- চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় জ্বলে উঠেছে আলো, সেজে উঠছে পথঘাট, সাজানো হয়েছে মন্ডপ, প্রতিমা। কলকাতার পোস্তা থেকে জগদ্ধাত্রী পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। চতুর্থীর সন্ধায় পুজো গাইড ম্যাপ প্রকাশ করলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। চন্দননগর স্ট্যান্ডে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, মেয়র রাম চক্রবর্তী, হুগলি জেলাশাসক মুক্তা আর্য, চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, সহ অন্যান্য বিশিষ্টরা। পুলিশ কমিশনার জানান, এবার জগদ্ধাত্রী পুজোর নিরাপত্তায় আড়াই হাজার পুলিশ কর্মি মোতায়েন থাকবে।
সিসি ক্যামেরায় নজরদারী থাকবে। সাদা পোশাকের পুলিশের পাশাপাশি ইভটিজিং রুখতে উইনার্স টিম থাকবে। চন্দননগরে আগামী কয়েকদিন জনতার ঢল নামবে। একটি ফেরি ঘাটে সমস্যা হত, তাই এবার অস্থায়ী জেটি তৈরী করা হয়েছে। মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এক সপ্তাহের মধ্যে জেটি ও দশ লক্ষ টাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। পুজোর দিন গুলোতে চন্দননগরে নো এন্ট্রি থাকবে। পুলিশ কমিশনার বলেন, ভীর দেখে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। দুপুর দুটোর পর কোনো চারচাকা ঢুকতে পারবে না। মোটর বাইকের জন্য এন্ট্রি পাস দেওয়া হয়েছে। জরুরি কাজ, কেউ অসুস্থ হলে বা খাবার সরবরাহকারী সংস্থাকে ছাড় দেওয়া হবে।
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর ঐতিহ্য বজায় রেখে পুজোর দিন গুলোতে যাতে মানুষের কোনো অসুবিধা না হয় তা দেখা হবে। দেখানে রাস্তার পাশে পুজো হয় যাতায়াতের জন্য জায়গা কম সেই জায়গায় বাড়তি পুলিশ থাকবে। জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড থাকবে। চন্দননগরে ঢোকার সব রাস্তায় নো এন্ট্রি থাকবে। চন্দননগরে জগদ্বাত্রী পুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রাক্ষনপাড়া সার্বজনীন, দৈবকপাড়া, উর্দিবাজার, বারাসাত ব্যানার্জ্জীপাড়া, দিনেমারডাঙা তালপুকুরধার এবং বোরো সার্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।