হুগলি, ৯ নভেম্বর:- ৬২৮ বছরের প্রাচীন মাহেশের জগন্নাথ দেবের মন্দিরকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্রের দ্বিতীয় দফার কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে। ২০১৯ সালে রথযাত্রার দিন মাহেশে এসে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের জীর্ণ অবস্থা দেখে খুবই ব্যথিত হন, এবং তিনি সেই রথযাত্রার মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেন শ্রীরামপুরের মাহেশ গ্রামকে পর্যটন মানচিত্রে তুলে আনা হবে। যেমন কথা তেমনি কাজ। সেই বছর থেকেই মাহেসের জগন্নাথ মন্দির সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে যায়, এবং ২০২১ সালে জগন্নাথ দেবের মন্দির সংস্কারের প্রথম দফার কাজ শেষ হয়। মূল মন্দির, নাট মন্দির, ভোগের ঘর কে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলে অনিন্দ্য রূপ দেয়া হয়েছে। জিটি রোডের উপর একটি বিশাল তোরণ গড়ে উঠেছে যা এখানকার সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আরো বেশ কিছু কাজ বাকি ছিল এদের মধ্যে জগন্নাথ দেবের স্নান মঞ্চের সংস্কার, দোল মঞ্চের সংস্কার, সিংহ দুয়ারের সংস্কার, যাত্রী নিবাস গড়ে তোলা এবং রথযাত্রা উপলক্ষে স্নান পিরি মাঠে যে মেলা বসে, সেই স্নানপুরি মাঠটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে তার চারিদিকে ফেন্সিং এবং আলোর ব্যবস্থা করা এবং বৃক্ষরোপণ করা।
আর এবার পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরা সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে গেছেন, এ ব্যাপারে বলতে গিয়ে মাহেশ জগন্নাথ দেব ট্রাস্ট্রি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী এবং সভাপতি অসীম পন্ডিত জানালেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী কে আমরা অকুন্ঠ অভিনন্দন এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা জানাই, কারণ তিনি যেভাবে পুরীর পর মাহেশের যে জগন্নাথ দেবের রথ উৎসবকে আজকে সাধারণ লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে প্রসার করতে এবং প্রচার করতে যে উদ্যোগ নিয়েছেন তার তুলনা নেই। কারণ এই মাহেসের পবিত্র ভূমিতে বহু মনীষীদের পদধ্বনি পড়েছিল এদের মধ্যে ঠাকুর রামকৃষ্ণ, মা সারদা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যেমন আছেন তার সঙ্গে সঙ্গে অগণিত লক্ষ লক্ষ ভক্ত প্রতিবছর এই মাহেশ ধামে এসে রথযাত্রা প্রত্যক্ষ করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে এই পবিত্র ভূমিকে পর্যটন কেন্দ্রের রূপ দিতে প্রচেষ্ট সচেষ্ট হয়েছেন তার কাজ ইতিমধ্য শুরু হতে চলেছে। পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরা এসে জগন্নাথ জিও ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং শুধুমাত্র দোলমঞ্চ স্নান মঞ্চ স্নান পিরি মাঠ নয় তার সঙ্গে সঙ্গে যার আকর্ষণে প্রতি বছর লক্ষ মানুষের সমাগম হয় সেই মাহেশ সু বিশাল লোহার রথটি জীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেটিও যাতে সংস্কার হয় সেই ব্যাপারেও প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আর এতে খুশি সাধারণ মানুষ।