এই মুহূর্তে জেলা

জ্যোতিপ্রিয় যাদের নাম বলেছে সবাইকেই ইডির জিজ্ঞাসা করা উচিত বলে মন্তব্য লকেটের।

হুগলি, ৩ নভেম্বর:- জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যাদের নাম বলছে ইডির তাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত, দলীয় কর্মসূচিতে হুগলির বিজেপি কার্যালয়ে হাজির হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন হুগলির বিজেপি সাংসদ তথা অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শারীরিক পরীক্ষা করতে নিয়ে যাবার সময় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, মমতাদি অভিষেক জানেন আমি নির্দোষ। বিজেপি আমাকে ফাঁসিয়েছে, আমি মুক্ত চার দিন অপেক্ষা করুন। মমতা অভিষেকের পাশে আছি। সেই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং ভাইপো ছাড়া উনি কোন কাজ করেননি। সব তাদের চোখের সামনেই হয়েছে। মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানলে ইডির উচিত যাদের নাম বলছে তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা। এত বড় রেশন দুর্নীতি হয়েছে সেটা উপরের মদত ছাড়া কিছুতেই হতে পারে না। মা অন্নপূর্ণা কে নিয়েও এরা টাকা লুট করেছে। ভালো চাল বিক্রি করে খারাপ চালের ভাত মানুষকে দিয়েছে। এটা অনেক বড় কেলেঙ্কারি এর সাথে অনেক মন্ত্রণালয় যুক্ত রয়েছে। একা কিছুতেই হতে পারে না। ডিএ মঞ্চে নাটক দেখানোর খেসারত চাকদার নাট্যমঞ্চের, কল্যাণীতে বুকিং বাতিল নাটক দলের। সেই প্রসঙ্গে লকেট বলেন, মুখ বন্ধ করার প্রচেষ্টা চলছে, একের পর এক বড় বড় দুর্নীতি ধরা পড়ছে। শিক্ষা,রেশন, নিয়োগ দুর্নীতি কয়লা গরু পাচার সহ একাধিক দুর্নীতি রয়েছে। সেটাই মানুষ নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করলে তাদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে।

কংগ্রেস, ইন্দিরা গান্ধী, সিপিএম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে করছেন যে আওয়াজ তুলবে তাকে কিভাবে আওয়াজ বন্ধ করা যায় তার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে কিন্তু এর পরিণাম একদিন ভুগতে হবে। লোকসভার জন্য তৃণমূলের ভাবনা, দুই-তৃতীয়াংশ নতুন মুখ সেই প্রসঙ্গে লকেট বলেন, যেভাবে একের পর এক দুর্নীতি ধরা পড়ছে, সাংসদের তরফেও যেভাবে ক্যাশ ফর হোয়ারইজে ধরা পড়েছে এরপর কেউ আর দলটাকে সেভাবে সম্মান দিচ্ছে না। আগামী দিনে কি করে ভোটে লড়বে তার প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ দলটা দুর্নীতিতে জর্জরিত দেশের মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দল এই তৃণমূল দল। তারা যতই নতুন মুখ নিয়ে আসুক এবারের বৈতরণী পার হওয়া চোর ডাকাতদের পক্ষে শক্ত। কলকাতার রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথালমলজি থেকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম পাচারের অভিযোগ সেই প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, স্বাস্থ্যর সাথী বলে আর কিছু নেই। স্বাস্থ্য টাই পড়ে রয়েছে কোন সাথী কাজ করছে না। শুধুমাত্র কার্ড নিয়ে মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে। খুঁজলে অনেক বড় দুর্নীতি ধরা পড়বে। দেখলে অনেক বড় দুর্নীতি ধরা পড়বে। রাজ্য পুলিশের তদন্তে চার্জশিটে বাকিবুরের নাম নেই, সেই প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, রাজ্য পুলিশ নিজেদের হাতের মুঠোয় রয়েছে, এরা টিএমসির ক্যাডার হয়ে কাজ করে। এত বড় একটা দুর্নীতিতে ইডি সিবিআই বাকিবুরের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে। রাজ্য পুলিশের এখানে কোন ভূমিকাই নেই তাদের তদন্তকে কেউ পাত্তাও দেবে না।