এই মুহূর্তে জেলা

দীপাবলীর আগেই মায়াপুরের চন্দ্রদ্বয় মন্দিরে জ্বলে উঠলো শত প্রদীপ।

নদীয়া, ৩০ অক্টোবর:- দীপাবলীর আগেই নদিয়ার ইসকনের প্রধান কেন্দ্র শ্রী মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দিরে জ্বলে উঠলো শত শত দ্বীপ। কোজাগরী লক্ষী পুজোর দিন থেকে মায়াপুর ইসকনে শুরু হয়েছে দীপদান অনুষ্ঠান চলবে রাসপূর্ণিমা পর্যন্ত। একমাস ধরে চলা বিশ্বব্যাপী এই দ্বীপদান অনুষ্ঠানে জাতি,ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই দ্বীপদান করতে আসে ইসকন মন্দিরে। দ্বীপ দান অনুষ্ঠান চলে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭ থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত। একই সাথে চলবে দামোদরাষ্টকম্ স্ত্রোত্র পাঠ। প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রাণ হাজার হাজার মানুষ দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত সমবেত হয় মায়াপুর ইসকনে। দ্বীপদান উৎসবের বিষয়ে ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, দ্বীপদান উৎসব উপলক্ষে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক লাইনের ব্যবস্থা করাও হয়েছে। এছাড়াও নিরাপত্তার ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে। সর্বোপরি ভগবানের প্রীতি শ্রদ্ধা, বিধান তথা সেবার বিশেষ সুযোগ লাভ করা যায় এই উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে। যার ফলে জীবনের পারমার্থিক প্রগতি লাভ হয়।

সনাতন ধর্মে যত প্রকার উৎসব আছে তার মধ্যে দীপাবলী অন্যতম। দীপাবলি শব্দটির অর্থ হল দ্বীপের আলি। বিজয় দশমীর কুড়ি দিন পর থেকে উৎযাপিত হয় এই উৎসব। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, ক্রেতা যুগে রাবনকে বধ করার পর যখন ভগবান শ্রীরামচন্দ্র তাঁর নিজ রাজ্য অযোধ্যায় প্রবর্তন করছিলেন, তখন তার রাজ্যবাসী অর্থাৎ অযোধ্যা বাসিগণ তাকে স্বাগত জানানোর জন্য এক বিশেষ উৎসবের আয়োজন করেছিলেন। সমগ্র অযোধ্যা নগরীকে আলোকমালায় সজ্জিত করে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছিল। আর তারই স্মরণে এই উৎসব পালিত হয় বলে অনেকে মনে করেন।আবার পদ্মপুরাণে বর্ণনা করা হয়েছে কার্তিক মাসের এই বিশেষ তিথিতে যদি কেউ উন্মুক্ত আকাশের নিচে প্রদীপ জ্বালায় তাহলে তার সমস্ত স্কুল পরিত্রান লাভ করে হরিধাম প্রাপ্ত হয়। এই উৎসবে মধ্য দিয়ে সকলের মনমন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হোক আলোর দ্বীপ। অন্ধকার দূরীভূত হোক, শুভ দীপাবলি অনুষ্ঠানে সকলের শুভ কামনা। স্বাভাবিকভাবেই এই উৎসবকে ঘিরে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে ভক্তদের উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো।