কলকাতা, ৩০ সেপ্টেম্বর:- নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। রাজ্য সরকার দুই চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের মত জেলা প্রশাসনকে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন সব জেলার জেলাশাসক,পুলিশ সুপার, মহকুমা শাসক, বিডিও দের সঙ্গে ভার্চুয়াল পর্যালোচনা বৈঠক করেন। বৈঠকে দুর্বল নদীবাঁধগুলির উপরে নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি সেখানে বসবাসকারী মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, রাজ্যে ভারী বৃষ্টি পরিস্থিতি নিয়ে এদিনের বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘূর্ণাবর্তের জেরে বাংলা ভাসছে। একাধিক জেলা বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। কলকাতার বহু এলাকা জলমগ্ন। এমন অবস্থা মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জেলাশাসকদের থেকে জানতে চান নেত্রী। তিনি বলেন, যদি কেউ নিজের কাজে গাফিলতি করেন, তবে অবিলম্বে তাঁকে সরিয়ে দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নীচু এলাকার বসতি অবিলম্বে সরাতে হবে। প্রয়োজনে ত্রাণ শিবির খুলে ওই এলাকার মানুষদেরকে স্থানান্তরিত করতে হবে। শনি ও রবিবার যাতে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মানুষ দুর্যোগে যাতে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন পরিস্থিতিতে না পড়েন সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, শনিবারই ভারী বর্ষণে বাঁকুড়ায় দেওয়াল চাপা পড়ে একই পরিবারের তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সেই নিয়ে বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যসচিব।