এই মুহূর্তে জেলা

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক চন্দননগরে।

হুগলি, ২৭ সেপ্টেম্বর:- ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে চন্দননগরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক, মানুষকে সচেতন করায় জোর, বাড়ানো হচ্ছে হাসপাতালের বেড।কোভিডের সময় তৈরী ওয়ার্ড গুলোকে ডেঙ্গি চিকিৎসায় কাজে লাগানো হবে। পুজোর আগে ডেঙ্গির প্রকোপ ভয় ধরাচ্ছে হুগলিতে। জেলা প্রশাসন উদ্বিগ্ন ডেঙ্গি নিয়ে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিব নির্দেশ দিয়েছেন ডেঙ্গি মোকাবিলায় জন প্রতিনিধি ও পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে।সেইমত আজ হুগলি জেলা শাসক চন্দননগর কর্পোরেশনে ডেঙ্গি মোকাবিলা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক মুক্তা আর্য, সিএমওএইচ রমা ভুঁইয়া, মেয়র রাম চক্রবর্তী, কর্পোরেশনের কমিশনার স্বপন কুন্ডু, চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি সহ চন্দননগর কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র, এসডিও, ভদ্রেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রলয় চক্রবর্তী ও কাউন্সিলররা। বৈঠকের আগে এডিস মশার মডেল সহ ট্যাবলোর সূচনা করেন জেলা শাসক ও আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, ডেঙ্গি মোকাবিলায় কর্পোরেশন আগে থেকেই কাজ করছে।

মানুষকে সচেতন করতে স্বাস্থ্য কর্মিরা বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন,যেসব এলাকায় ডেঙ্গি হচ্ছে সেখানে স্পেশাল ড্রাইভ দেওয়া হচ্ছে।কয়েকটি জায়গায় জল জমে থাকছে সেই এলাকা গুলো রেলের,পাশাপাশি জুটমিলের কিছু এলাকা বিএসএনএল এর অফিস সংলগ্ন এলাকা অপরিষ্কার থাকছে।ছাদে বা পরিত্যক্ত জায়গায় মশা জন্মাতে পারে তাই পুলিশ কমিশনার বলেছন ড্রোনের ব্যবস্থা করে দেবেন।মশার লার্ভা জন্মায় এমন জায়গা গুলো চিহ্নিত করে তা নষ্ট করতে হবে। সিএমওএইচ বলেন, হুগলি জেলার ১৮ টি ব্লক হাসপাতাল, পাঁচটা বড় হাসপাতালে জ্বরের রোগিদের জন্য বেড বাড়ানো হয়েছে। কারো ভর্তি হবার প্রয়োজন হলে কোনো অসুবিধা নেই। পাশাপাশি গ্রাম ও শহরাঞ্চলের মানুষকে সচেতন করার কাজ চলছে। ডেঙ্গির হাত থেকে রক্ষা পেতে গেলে সচেতন হতে হবে। না হলে পুজোর সময় এই রোগির সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এখন দিনে ৪০ জন করে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। হুগলিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সারে তিন হাজার ছাড়িয়েছে। প্রায় আড়াইশ জন ভর্তি হাসপাতালে।শুধু চন্দনগরেই আক্রান্ত দের শতাধিক। তিনটি রেড জোন করা হয়েছে।