এই মুহূর্তে জেলা

শিবপুর থানা থেকে কামানের সেল গেল ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামে।


হাওড়া, ১১ সেপ্টেম্বর:- প্রায় ৫-৬ মাস আগে শিবপুর থানা এলাকায় জলের পাইপ লাইন তৈরির সময় উদ্ধার হয়েছিল দুটি শক্তিশালী কামানের সেল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগেকার সেল বলে দাবি গবেষক বিপ্লব রায়ের। সোমবার শিবপুর থানা থেকে এই সেল দুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরে। এবিষয়ে রাজ্য সরকারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল অ্যান্ড অফিসিয়াল ট্রাস্টি বিপ্লব রায় বলেন, প্রায় ৬ মাস আগে শিবপুর থানায় দেখানো হয় থানা চত্তরে জলের লাইনের জন্য মাটি খোঁড়ার সময় দু’টো লোহার বস্তু পাওয়া গিয়েছে। এই বস্তুগুলো নাড়াচাড়া করে দেখা গেল এগুলি কামানের সেল। কোন কারণে এই সেল বিস্ফোরণ ঘটেনি। ডিফিউস হয়ে গিয়েছে৷ দীর্ঘদিন মাটির তলায় পড়ে ছিল। এই খবর জানার পর থানার আধিকারিককে দরখাস্ত করি স্টেট জুডিশিয়াল মিউজিয়াম এবং রিসার্চ সেন্টারে সংরক্ষণ করার জন্য দেওয়া হোক। পুলিশ আধিকারিকের একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা না থাকায় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সুপার রাজেন্দ্র যাদবকে জানানো হয়।

তিনি এই সেল প্রদর্শনের জন্য অনুমতি দেন। সেই অনুমতি পাওয়ার পর হাওড়া জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হয় তাদের হাতে ওই দু’টি সেল তুলে দেওয়ার জন্য। এই সুত্র ধরে আমাদের হাতে এই সেল তুলে দেওয়া হয়েছে। এটাকে নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেনা এবং বন্দুক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করে জানা হবে এটি কোন সালে এবং কোন কোম্পানি তৈরি করেছে। গঙ্গার পাড় দিয়ে একাধিক যুদ্ধ হয়েছে, গোলাগুলি চলেছে। অনুমান প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অনেক আগের সময়ের। সেলের গায়ে ১৮ একটা সংখ্যা দেখা গিয়েছে৷ এটা সাল বলে মনে হচ্ছে। সাল এবং কোম্পানির নাম জানলেই বোঝা যাবে এটা কোন সময়ের সেল। ক্যানন এবং আর্টিলারি বিশেষজ্ঞ আছেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা এর দিনক্ষণ, কাল জানতে পারব। এর থেকে একটা অজানা ইতিহাস বেরিয়ে আসবে। তখন জানতে পারা যাবে কেন এখানে এই কামানের গোলা ছিল।